মসজিদ মুখী করতে সিঙ্গাপুরে ছাতার ব্যবস্থা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মসজিদ মুখী করতে সিঙ্গাপুরে ছাতার ব্যবস্থা, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদ মুখী করতে সিঙ্গাপুরে ছাতার ব্যবস্থা, ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র ও ব্যাপকভাবে নগরায়িত দ্বীপরাষ্ট্র। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম প্রান্তে, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত। সিঙ্গাপুরের স্থলভূমির মোট আয়তন ৬৯৯ বর্গকিলোমিটার।

সিঙ্গাপুরে মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ মুসলমান। পুরো সিঙ্গাপুরে ৭০টির মতো মসজিদ রয়েছে। তন্মধ্যে সুলতান মসজিদকে বিবেচনা করা হয় সিঙ্গাপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ হিসেবে। মসজিদটি নির্মাণ হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ যেভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল এর মূল ডিজাইনে কোনো ধরনের মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়নি। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮২৪ সালে এবং শেষ হয় ১৮২৬ সালে।

বিজ্ঞাপন

সিঙ্গাপুরের উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকটি মসজিদ হলো- সেরাঙ্গুনের আঙ্গুলিয়া মসজিদ, তেবান গার্ডেনের হাসানা মসজিদ, তামাং জুড়ংয়ের আশিকিরিন মসজিদ, অ্যাডমিরাল টির আসসাইয়াফা মসজিদ, কমনওয়েলথ এভিনিউ ওয়েস্টের দারুস সালাম মসজিদ, জালান ইউনূসের দারুল আমান মসজিদ, গেলাংয়ের হাজী মোহাম্মদ সালেহ মসজিদ ও খাদিজা মসজিদ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/03/1546533512233.jpg

সিঙ্গাপুরকে বলা হয় বহু সংস্কৃতির দেশ। এর সুবাদে দেশটিতে উঠছে স্বতন্ত্র ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার মুসলমানরা সিঙ্গাপুর ইসলামি কাউন্সিল (Muis) এর ব্যানারে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। দেশটির মুসলিম কমিউনিটির মতো বিভিন্ন মসজিদ কর্তৃপক্ষ নানা ধরনের কল্যাণ মুখী কাজ করে থাকে। যার কারণে সাধারণ মানুষ মসজিদে যেতে আগ্রহী হয়। এমন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিঙ্গাপুরের মসজিদে ইউসুফ ইশাক কর্তৃপক্ষ ছাতা রাখা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। যেন মসজিদগামীরা বৃষ্টি থেকে বাঁচতে পারে।

মসজিদে ইউসুফ ইশাক সিঙ্গাপুরের ওডল্যান্ড ড্রাইভ এভিনিউতে অবস্থিত। মসজিদটি মুসলিম শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষাদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রমের জন্য বেশ প্রশংসিত।

মসজিদ কর্তৃকপক্ষের দাবি, নিকটবর্তী বাসস্ট্যান্ড থেকে মসজিদ পর্যন্ত আসতে আসতে মুসল্লিরা মসজিদে আসতে ভিজে যান। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারাও বৃষ্টির জন্য মসজিদে আসতে পারেন না। তাই তাদের জন্য এসব ছাতা রাখা হয়েছে।

মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদের সামনে এবং নিকটবর্তী বাসস্ট্যান্ডের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ছাতা রেখেছেন। মসজিদগামী কেউ ইচ্ছা করলে এখান থেকে ছাতা ব্যবহারের পর তা সেখানে রেখে যেতে পারবেন।

২৭ ডিসেম্বর এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ কর্মসূচি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষ বিষয়টিতে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখছেন।

-দ্য স্ট্রেইস টাইমস অবলম্বনে