শুক্রাণু দাতা পেলেন বাবার অধিকার
অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ আদালতের এক রায়ে ১১ বছর বয়সী এক মেয়ের শুক্রাণু দাতাকে বাবার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
কারণ হিসেবে বলা হয়, ব্যতিক্রমী এ মামলায় উক্ত ব্যক্তি শিশু কন্যাটির শুধু স্পার্ম ডোনারই ছিলেন না, তার সাথে ভালো সম্পর্কও ছিল। পাশাপাশি শিশুটির জন্ম সনদেও তার নামের সাথে বাবা হিসেবে দেখানো হয়েছে উক্ত ব্যক্তির নাম। এমনকি কন্যা শিশুটি উক্ত ব্যক্তিকে ‘বাবা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সাধারণত পাশ্চাত্যে স্পার্ম ব্যাংক খুবই সাধারণ ও প্রচলিত একটি বিষয়। এখানে স্পার্ম ডোনাররা তাদের স্পার্ম ডোনেট করে যান এবং ডোনেট করা স্পার্মের জন্য তারা বাবার অধিকার বা স্বীকৃতি পান না।
তবে এক্ষেত্রে ঘটনা ছিল একেবারেই ভিন্ন। বাবার অধিকার চাওয়া ব্যক্তিটি তার বান্ধবিকে ২০০৬ সালে স্পার্ম ডোনেট করেছিলেন এবং দুজনে মিলে জন্ম নেওয়া সন্তানকে বড় করার আয়োজন করেছিলেন। পরবর্তীতে তাদের পরিকল্পনা মাফিক সন্তানের দেখভালের বিষয়টি আগায়নি।
এ কারণে সন্তানের মায়ের পক্ষের উকিল দাবি করেন, আইনত উক্ত ব্যক্তি কন্যা সন্তানের বাবা নন।
পরবর্তীতে পাঁচ বছরের দীর্ঘ লড়ায় শেষে অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ আদালত উক্ত ব্যক্তিকে কন্যা সন্তানের আইনত বাবা হিসেবে ঘোষণা দেন।
উক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে রাখার জন্য কন্যার মা নিউজিল্যান্ডে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল এবং এতোদিন যাবত তিনি তার সন্তানের মাকে নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে আসছিলেন। বর্তমানে আদালতের রায় অনুযায়ী তিনি বাবার স্বীকৃতি পেয়ে যাওয়ায় কন্যা সন্তানের মা বৈধ নিয়মানুযায়ী নিউজিল্যান্ডে যেতে পারবে না।