মোদির শপথে ছয় হাজার ভিআইপি, থাকছেন না মমতা

  • কলকাতা ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়/ ছবি: সংগৃহীত

নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়/ ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৭টায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গেই শপথ নেবেন প্রায় ৭০ জন মন্ত্রী। গতবারের মতো এবারও রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অবশ্য এর আগে রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতো। মোদির প্রথম শপথ থেকেই পরিবর্তন এসেছে।

মোদির শপথে উপস্থিত থাকবেন প্রায় ছয় হাজার জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি)। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশি অতিথিও আছেন। একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, সব রাজনৈতিক দলের নেতারাও উপস্থিত থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এ আয়োজনে উপস্থিত থাকছেন না পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে মঙ্গলবার ‘সাংবিধানিক সৌজন্যতা বজায় রাখতে যাবো’ বললেও বুধবার (২৯ মে) মমতা জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না।

বিদেশি অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত থাকছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দকুমার জুগনৌথ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, থাইল্যান্ডের রাজার প্রতিনিধি, মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মাইত্রিপালা সিরিসেনা, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ও কিরগিস্তানের রাষ্ট্রপতি।

মমতা বুধবার টুইটে লিখেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণে যোগদানের সাংবিধানিক আমন্ত্রণ পেয়ে আমি দিল্লিতে যাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু গত কয়েক ঘণ্টায় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানতে পারলাম রাজনৈতিক হিংসায় বাংলায় নিহত ৫৬ জনের পরিবারকে ঐ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অসত্য তথ্য। পশ্চিমবঙ্গে কোনও রাজনৈতিক হত্যা হয়নি। সমস্ত হত্যার পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে ব্যক্তিগত শত্রুতা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব বা অন্য কোনো বিবাদ। এগুলোর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এমন কোনো তথ্য নথিভুক্ত নেই। এজন্যই আমি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারছি না।’

মমতা লিখেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদি জি, আমি দুঃখিত। গণতন্ত্র উদযাপনের সেরা স্থান হতে পারত এই মঞ্চ। এই মঞ্চকে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যবহার করা উচিত নয়। মাফ করবেন।’