সাম্প্রদায়িকতার বীজ ছড়িয়ে জিতেছে বিজেপি: মমতা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়ে ভোট কিনে ও সাম্প্রদায়িকতার বীজ ছড়িয়ে জিতেছে বিজেপি। পরিবারে পাঁচ জন সদস্য থাকলে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে রাজ্যে কখনও সাম্প্রদায়িকতার বিষ। কখনও টাকা বিলিয়ে ভোট দখল করে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ইভিএম কারচুপিরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ভোটে হারার পর ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেন মমতা। এরপর পর পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় বৈঠকের পর নিজেই একথা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু তৃণমূলের নেতারা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।

মমতা বলেন, ‘চেয়ারের আমাকে প্রয়োজন, আমার চেয়ারের প্রয়োজন নেই। পাঁচ মাস রাজ্য সরকারকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। এত কিছু করেও আমাদের ভোট চার শতাংশ বেড়েছে। ওরা জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। তবু গণতন্ত্রে সংখ্যা জরুরি বিষয়। মোদীজিকে অভিনন্দন। কিন্তু মনে রাখতে হবে সাম্প্রদায়িকতা বীজ ছড়িয়েছে জিতেছে বিজেপি।’ 

হিন্দু ও মুসলমান ভোট পাওয়া নিয়ে মমতা বলেন, ‘হিন্দু মুসলমান ভোট ভাগাভাগি করেই জিতেছে বিজেপি। আমি কখনও এসব করি না। দরকার হলে একা থাকতে রাজি আছি। আমি নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতাহীন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম।’ 

নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং সরকারি আধিকারিকদের ব্যবহার করে টাকা ঢুকিয়ে দিতে পুলিশ আধিকারিকদের বদল করেছে কমিশন।

ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করে মমতা বলেন, যে সমস্ত আসনে আমরা এক লাখ ভোটের কমে হেরেছি সেগুলো নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। ভোটের আগে থেকেই ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, আগে থেকেই প্রোগ্রামিং করা ছিল ইভিএম।