হাঁচি বা কাশি দিলেই ভয় পাচ্ছেন সেরেনা
করোনাভাইরাস আতঙ্কে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের মহামারিতে এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। যুক্তরাষ্ট্রেও একই দৃশ্যপট। এ অবস্থায় আতঙ্কেই দিন কাটছে সেরেনা উইলিয়ামসের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেন ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য স্বেচ্ছাবন্দি রয়েছেন সেরেনা। গেল দুই সপ্তাহ ধরেই আছেন সঙ্গরোধে। কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এমন কী নিজের কন্যার থেকেও দূরে থাকছেন তিনি।
আতঙ্কিত সেরেনা এখন হাঁচি বা কাশি দিতে দেখলেই ভয় পাচ্ছেন। এক ভিডিওতে এই টেনিস তারকা বলছিলেন, ‘করোনায় আমার কিছু হবে না-শুরুতে মনের মধ্যে অদ্ভুত এই ধারণা ছিল। এরপর যখন ইন্ডিয়ান ওয়েলস বাতিল হয়ে গেল, তখন ভেবেছিলাম, যাক ক’দিন ছুটি পেলাম। চুটিয়ে আনন্দ করব। কিন্তু এরপরই একের পর এক টুর্নামেন্ট বাতিল হতে লাগল। চিন্তাও বাড়ল আমার।’
এখন টেনিসের সব আসরই বন্ধ। সেরেনাও সরিয়ে রেখেছেন নিজেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই টেনিস তারকা বলছিলেন, ‘প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে সবার থেকে দূরে রয়েছি। ছোটখাট বিষয়ে দুশ্চিন্তাও হচ্ছে। এখন আশেপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলেই প্রচণ্ড ভয় লাগছে। কারও সঙ্গে কোথাও বের হচ্ছি না। এই তালিকায় আমার ছোট্ট মেয়েও রয়েছে। আসলে ওর সর্দি–কাশি হয়েছে। সেটা দেখে মেয়ের ওপর খুব রেগে গিয়েছি। এরপর অবশ্য মন খারাপ হয়েছে। চিন্তা হচ্ছিল-ও সুস্থ আছে? আমার মেয়ের তো কিছু হয়নি? এখন ঠিক কী করা উচিত, জানিনা আমি। সত্যি বলতে কী প্রচণ্ড চাপে আছি আমি।’