ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করতে বিলম্ব হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অন্যতম ফ্রাঞ্চাইজি দূর্বার রাজশাহী। একই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে আজকের মধ্যেই খেলোয়াড়দের ৫০ শতাংশ বকেয়া পরিশোধ করবে দলটি।
এর আগে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে বকেয়া বেতনের দাবিতে অনুশীলন বন্ধ রেখেছিলেন দলটির দেশীয় খেলোয়াড়রা। তার একদিন পরই আজ এমন সিদ্ধান্ত জানালো ফ্র্যাঞ্চইজিটি। যদিও বিদেশি খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের তাদের মোট বেতনের ২৫ শতাংশ ৬ জানুয়ারি দলের চতুর্থ ম্যাচের পর পরিশোধ করেছে তারা।
এই বিষয়ে পরিচালকদের সঙ্গে জুম মিটিংয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ। রাজশাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে দলের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও অন্যান্য কয়েকজন খেলোয়াড়সহ হোটেলেও যান তিনি।
মিটিংয়ের পরে খেলোয়াড়দের কাছে বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন দুর্বার রাজশাহীর অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ। বাতিল হওয়া অনুশীলনটি পেমেন্ট সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সমস্ত ক্রিকেটারদের প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে আমরা ১৬ জানুয়ারির মধ্যে তাদের পেমেন্ট সম্পূর্ণ করব এবং অনুশীলন না করা এর সাথে সম্পর্কিত নয়।’
এর আগে মিটিং নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিং করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক মঞ্জুর আলম। তিনি বলেন, ‘আশা করছি আমরা আগামীকাল (আজ) একটি সমাধানে পৌঁছাতে পারব। প্রেসিডেন্ট সরাসরি দল মালিক, অধিনায়ক এবং খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলেছেন। আমরা সব পক্ষ থেকে একটি ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। তারা আগামীকাল অনুশীলনে অংশগ্রহণ করবেন, যা আলোচনার সবচেয়ে ইতিবাচক দিক।’
অবশ্য বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য পেমেন্ট শিডিউল নির্ধারণ করেছে যেখানে বলা আছে, তারা টুর্নামেন্ট শুরুর আগে খেলোয়াড়দের মোট ফি’র ৫০ শতাংশ, টুর্নামেন্ট চলাকালে ২৫ শতাংশ এবং বাকি ২৫ শতাংশ টুর্নামেন্ট শেষে প্রদান করবে।
পিঠে ফোলা ভাবের কারণে ভারতের পেসার জাসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রামে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাতেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারবেন তো ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার?
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে হঠাৎ মাঠের বাইরে যান বুমরাহ, পরে জানা যায় পিঠের মাংস পেশী ফোলে (ব্যাক স্পাজম) গিয়েছিলো তার। তখন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) বুমরাহকে নির্দেশ দিয়েছিল দেশে ফিরে রিপোর্ট করতে।
এখন তিনি পুরোপুরি বিশ্রামে অর্থাৎ বেড রেস্টে। আপাতত তাকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। থাকতে হবে পূর্ণ বিশ্রামে। বেশি হাঁটা চলা করতেও বারণ করা হয়েছে। ফলে রিপোর্ট করতেও যেতে পারেননি তিনি।
ব্যাক স্পাজম সাধারণত কয়েক গ্রেডের হয়। গ্রেড ১ ক্যাটাগরির ব্যাক স্প্যাজম হলে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়ে তারপর মাঠে নামা যায়। গ্রেড ২ চোট হলে অন্তত ৬ সপ্তাহ, গ্রেড ৩ চোট পেলে অন্তত তিনমাস মাঠের বাইরে থাকতে হয় খেলোয়াড়কে।
জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে পিঠে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন বুমরাহ। আবারো সেখানে ফুলে গেছে বর্তমানে বিশ্বের সেরা এ পেসারের। তার চোট কতটা গুরুত্বর সেটা এখনো জানা যাচ্ছে না। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার দলে থাকা শঙ্কা তো থাকছেই।
ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যৌথ আয়োজনে শুরু হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। এই আয়োজন সামনে রেখে পাকিস্তানে যেতে হতে পারে ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে।
রাজনৈতিক বিরোধের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে দল পাঠাবে না বলে জানিয়েছিল ভারত। অবশেষে হাইব্রিড মডেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সঙ্গে মিলে এবারের আসরের আয়োজন করতে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)। যেখানে বাকি দলগুলো পাকিস্তানে খেললেও ভারত খেলবে দুবাইয়ে।
সাধারণত আইসিসির আর্ন্তজাতিক টুর্ণামেন্টের শুরুতে অংশ নেওয়া সকল দেশের অধিনায়কদের সাথে নিয়ে ট্রফি উন্মোচন করা হয়। যে কারণে দল না গেলেও অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মাকে যেতেই হবে বাবর আজমদের দেশে ।
রোহিতের পাকিস্তান সফর নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, ‘প্রথমে দল ঘোষণা করা হোক, তারপর আমরা এই বিষয়টা দেখব। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’ তবে এটাও শোনা যাচ্ছে, রোহিতকে পাকিস্তানে পাঠানো হতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে অনেক সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে থাকতে হবে ভারত অধিনায়ককে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সব দল ঘোষণা হয়ে গেলেও এখনো ঘোষণা হয়নি ভারতের স্কোয়াড। তাদের দল ঘোষণা হতে পারে ১৮ বা ১৯ জানুয়ারি। তারপরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। ফাইনাল ৯ মার্চ।
এশিয়ান স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব শুরু করেছে বাংলাদেশ বিলিয়ার্ডস অ্যান্ড স্নুকার ফেডারেশন (বিবিএসএফ)। আজ বুধবার বনানী ক্লাবে ৩২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহনে শুরু হয়েছে এই বাছাইপর্ব। যা চলবে আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর। আর বাছাইপর্ব থেকে উত্তীর্ণ দুইজন সেরা খেলোয়াড় ওই আসরে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
২০২৪ সালে কোনো ন্যাশনাল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত না হওয়ায় খেলোয়াড়দের র্যাংকিং করা সম্ভব হয়নি। তবে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর গত বছরের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশে বাংলাদেশ বিলিয়ার্ডস অ্যান্ড স্নুকার ফেডারেশনের নতুন কমিটি গঠিত হয় ।
দায়িত্ব নেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত সার্ক টুর্নামেন্টে দুইজন খেলোয়াড় পাঠায় বিবিএসএফ । এরই ধারাবাহিকতায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়ানশিপের জন্য খেলোয়াড় বাছাই এর প্রক্রিয়াও শুরু করে সংগঠনটি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বনানী ক্লাব লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট রুবেল আজিজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিবিএসএফের প্রেসিডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সরকার মুহাম্মদ শামসুদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবিএসএফের ভাইস প্রেসিডেন্ট আজিজ আল মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াসাত করিম ভূঁইয়া, বিলিয়ার্ডস অ্যান্ড স্নুকারের মেম্বার ইনচার্জ সিফাত আহমেদ চৌধুরী ও বনানী ক্লাব লিমিটেডের মেম্বার ইনচার্জ সৈয়দ আহসানুল আপন।