মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি 

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আগের ম্যাচে ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা কাটিয়ে ১০১ রানের দারুণ জুটি গড়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে আরও একবার ব্যর্থ সাগতিকদের টপ-অর্ডাররা। দলীয় ৯ রানের মাথায় ফেরেন দুই ওপেনার। দলীয় ১৫ রানের মাথায় ফেরেন হৃদয়ও। পরে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর রানে ফেরা, মাহমুদউল্লার ফিফটি ও শেষ দিকে জাকের আলীর ক্যামিওতে ১৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। 

সিরিজের শুরুর তিন ম্যাচ জিতে চট্টগ্রামেই সিরিজটা নিশ্চিত করে রেখেছে স্বাগতিকরা। পরের ঢাকায় ফিরে চতুর্থ ম্যাচেও শেষ ওভারে সাকিবের ঘূর্ণিতে ৫ রানে জিতে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবার ১৫৭ রানের নিচে সিকান্দার-ক্যাম্পবেলদের আটকে দিলেই সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ। 

বিজ্ঞাপন

সিরিজের পাঁচ ম্যাচে টসের পর সিদ্ধান্ত ওই একই। টসে জয়ে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচেই টসে জিতল জিম্বাবুয়ে এবং আগে ওই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। এতে মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। 

আগের ম্যাচে শুরুটা ভালো পেলেও মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ছিলেন পুরোদস্তুর ব্যর্থ। এবার সেই জুজু ফিরল টপ-অর্ডারে। ব্রিয়ান বেনেটের স্পিন ঘূর্ণি ও ব্লেসিং মুজারাবানির পেস তোপে ১৫ রানেই শুরুর তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। পরে সেই চাপ সামলে নেয় শান্ত-মাহমুদউল্লাহ জুটি। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটি থেকে ৪৫ বলে আসে ৬৯ রান। সেখানে আগের তিন ম্যাচের রান খরা কাটিয়ে ২৮ বলে ৩৬ রান করেন শান্ত। 

পরে পর পর দুই ওভারে ফেরেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। ১০ মাস টি-টোয়েন্টি ফিরে আগের ম্যাচে ১ রানের ম্যাচে এ ম্যাচে ২১ রান আসে সাকিবের ব্যাটে। এদিকে ১৮তম ওভারে শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান করে। পরে জাকেরের ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে শেষ দুই ওভারে আসে ২৯ রান। এতেই ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজিতে পোঁছায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন বেনেট ও মুজারাবানি।