প্রতারণার কতো ধরনই না হতে পারে! এবার তেমনই এক প্রতারণার শিকার হয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি। ঢাকায় বাস কাউন্টারে তার বিশাল ছবি ঝুলিয়ে চড়া দামে টিকিট বিক্রি চলছে।
বাসের নাম নড়াইল এক্সপ্রেক্স। মাশরাফি নড়াইল-২ এর সংসদ সদস্য। বাসের কাউন্টারে তার ছবি ঝুলিয়ে যাত্রী সাধারণকে বোঝানো হচ্ছে যে এই টিকিট বিক্রি প্রক্রিয়ার সঙ্গে মাশরাফি নিজে জড়িত। অভিযোগ উঠেছে ঢাকা থেকে নড়াইলের বাস টিকিট ৯০০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। কাউন্টারে মাশরাফির ছবি ঝুলিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে এই প্রতারণা করছে নড়াইল এক্সপ্রেস বাস।
প্রতারণার বিষয়টি মাশরাফির নজরে এসেছে। তিনি এই বিষয়ে এই বাস মালিকদের পরিস্কার হুঁিশয়ারি করে দিয়েছেন। অবিলম্বে যেন এইসব বাস কাউন্টার থেকে তার ছবি নামিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। বাসের টিকিট বিক্রির কোনো প্রক্রিয়ার সঙ্গে তিনি এবং তার কোনো সুহৃদ জড়িত নয়, সেটা মাশরাফি স্পষ্ঠ করে বলেছেন। দ্রুত এই প্রতারণা বন্ধ না করলে মাশরাফি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে মাশরাফি তার অফিসিয়াল ফেসবুকে মঙ্গলবার রাতে একটা সুস্পষ্ঠ বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তাটি হুবহ এমন। মাশরাফি লিখেছেন-
‘‘নড়াইল এক্সপ্রেস বাসের সম্মানিত মালিকগন আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে,ঢাকায় আপনাদের বাস কাউন্টারে আমার ছবি টানিয়ে রেখেছেন আবার যাত্রীদের বলছেন আমার কথা। এ সমস্ত কাজ থেকে বিরত থাকুন। আর পুরো নড়াইল আমার পৈত্রিক সম্পত্তি নয় যে আমি নড়াইল এক্সপ্রেস নাম নিয়ে কমপ্লেন দিব। তবে আপনারা আমার নাম ব্যাবহার কেন করছেন এর উত্তর কি দিতে পারবেন।
দ্রুত এ ছবি সরিয়ে মানুষদের সঠিক তথ্য দিন। না হলে হয়তো আমাকে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। জাস্ট সফ্ট রিমাইন্ডার। এরপর আর সুযোগ দিব না।
ঈদ মোবারক।’’
সকালে শঙ্কা ছিল। দুপুরে তৈরি হলো সম্ভাবনা।
রাবাদার এক ওভারে আগের দিনের দুই ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিক রহিম আউট হতেই প্রেসবক্স, গ্যালারি এবং বাংলাদেশ দলের ডাগআউট সর্বত্রই তখন একটা আশঙ্কা- ইনিংস হার এড়ানো গেল না তাহলে!
সেই শঙ্কা দুপুরে উবে গেল। বাংলাদেশ লাঞ্চের পরপরই ম্যাচে লিডও নিয়ে ফেলল। নাটকীয়ভাবে এই ঘুরে দাড়ানোর কারিগর দুজন- মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। দুজনে মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে একশ’র বেশি রান যোগ করে ম্যাচে বাংলাদেশকে শঙ্কার গর্ত থেকে টেনে তুলে সম্ভাবনার পথে নিয়ে এলেন। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করলেন। টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজের জন্য হাফসেঞ্চুরি নতুন কিছু নয়। ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরি এটি তার।
অন্যদিকে জাকের আলী তার টেস্ট ক্যারিয়ার শুরুই করলেন হাফসেঞ্চুরির আনন্দ দিয়ে। প্রথম ইনিংসে বাজে শট খেলে আউট হয়েছিলেন জাকের। নিজের অভিষেক টেস্টকে স্মরনীয় করে রাখার উপলক্ষ্যটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
লাঞ্চের খানিকবাদে এই রিপোর্ট লেখার সময় দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২৩৪ রান। ম্যাচে তখন বাংলাদেশের লিড ৩২ রানের। সপ্তম উইকেটে এই দুজনের ব্যাটিং জানান দিল মিরপুরের এই উইকেটে খেলতে জানলে টিকে থাকা সম্ভব। এবং আরো সম্ভব রান করা।
সকালে শুরুর বোলিংই সামাল দিতে পারেননি জয়, মুশফিক ও লিটন। কাগিসো রাবাদার এক ওভারে জয় ও মুশফিক ফিরে যাবার পর মহারাজের স্পিনে কাটা পড়েন লিটন দাস। এই তিন উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ শিবিরে ইনিংস হারের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মেহেদি হাসান মিরাজ এবং জাকের আলী অনিক সপ্তম উইকেটে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন। রক্ষনের সঙ্গে আক্রমণের মিশেলে এই জুটির ব্যাটিং বাংলাদেশের সম্ভাবনা জাগালো এবং সেই সঙ্গে আফসোসও কিছুটা ছড়ালো-উইকেট যদি আরো কয়েকটা কম পড়তো! মুশফিক অথবা লিটন যদি সকালে লম্বা সময় ধরে টিকে থাকতে পারতেন?
তৃতীয় দিনের শুরুটা বুকে কাঁপনই ধরিয়ে দিয়েছিল রীতিমতো। দশ ওভার পেরোনোর আগেই নেই তিন উইকেট, ১১২ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে সমূহ বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হারের শঙ্কাও মনের কোণে উঁকি দিচ্ছিল বেশ করে। তবে শেষমেশ বাংলাদেশ সে শঙ্কা এড়িয়েছে। সেশন শেষ করেছে ওই তিনটি উইকেট খুইয়েই।
মেহেদি হাসান মিরাজের ফিফটি আর জাকের আলির দারুণ ব্যাটিংয়ে এখন লিডের খুব কাছে দাঁড়িয়ে আছে দল। ৬ উইকেট খুইয়ে দলের রান এখন ২০১।
দিনের শুরুতে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প সম্প্রচারকারী টিভিতে বলেছিলেন, ‘প্রত্যেকটা বলই একটা ‘স্কোরিং অপরচুনিটি’, তো আমি এই মানসিকতাটাকে উদ্বুদ্ধ করতে চাই।’ সে কথাতে ‘উদ্বুদ্ধ’ হয়েই কি-না, অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গেলেন মাহমুদুল হাসান জয়, ফুটওয়ার্কের বালাই ছিল না তাতে।
ফলাফল যা হওয়ার, তাই হলো। কাগিসো রাবাদা আগের দিন দুটো উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের। আজ দিনের শুরুতেই পেয়ে গেলেন আরও একটা। মাহমুদুল হাসান জয় ফিরলেন ৯২ বলে ৪০ রান করে।
একটা উইকেট প্রায়ই আরও উইকেটের দুয়ার খুলে দেয়। জয়ের বিদায় তা দিলও। আগের ইনিংসে রাবাদার ইনকামিং ডেলিভারি স্টাম্প উপড়ে দিয়েছিল মুশফিকের। জয়ের বিদায়ের এক বল পর তার পুনর্মঞ্চায়ন দেখা গেল দ্বিতীয় ইনিংসেও। ৩৯ বলে ৩৩ করে ফেরেন মুশফিক।
এরপর লিটন দাসও ফেরেন দ্রুতই। কেশভ মহারাজের বলে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে তার ব্যাটের কানায় লেগে তা চলে যায় কাইল ভেরেইনার হাতে। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকা রিভিউ নিয়ে সফলতা পায়। ১১২ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।
দিন শুরুর আট ওভারে নেই তিন উইকেট, তখন পরিস্থিতিটা স্বাগতিকদের বিপক্ষেই ছিল। সেটা সামলায় শেষ স্বীকৃত ব্যাটারের জুটি। মেহেদি হাসান মিরাজ তাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, একের পর এক শট খেলে প্রতি আক্রমণ করেছেন, ওপাশ থেকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন জাকের আলি অনিক।
দুয়ের মিশেলে বাংলাদেশ রান তুলতে থাকে দ্রুত। দুজন মিলে এরপর ১৭২ বলে ৮৯ রান যোগ করেছেন দলের স্কোরবোর্ডে। যা আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলের সপ্তম উইকেটে জুটির রেকর্ডও। মেহেদি হাসান মিরাজ আবার সেশনের শেষ দিকে তুলে নেন ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। তিনি অপরাজিত আছেন ৫৫ রানে, ওপাশে জাকেরের নামের পাশে রান ৩০।
এই সেশনে অবশ্য লিড নেওয়া হয়নি বাংলাদেশের। ১ রানের দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছে দলটা। লিডটা দ্বিতীয় সেশনের জন্য তোলা রেখে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিনের শুরুতেও ১০১ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতে এই রান তুলতেই হতো দলকে। তবে দিনের শুরুতে সেটাকে এখন কঠিনের চেয়েও বেশি কিছু বলেই মনে হচ্ছে। পঞ্চম ওভারেই খুইয়ে বসেছে দুই উইকেট। তাও আবার দুই সেট ব্যাটার মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট!
দিনের শুরুতে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প সম্প্রচারকারী টিভিতে বলেছিলেন, ‘প্রত্যেকটা বলই একটা ‘স্কোরিং অপরচুনিটি’, তো আমি এই মানসিকতাটাকে উদ্বুদ্ধ করতে চাই।’ সে কথাতে ‘উদ্বুদ্ধ’ হয়েই কি-না, অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গেলেন মাহমুদুল হাসান জয়, ফুটওয়ার্কের বালাই ছিল না তাতে।
ফলাফল যা হওয়ার, তাই হলো। কাগিসো রাবাদা আগের দিন দুটো উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের। আজ দিনের শুরুতেই পেয়ে গেলেন আরও একটা। মাহমুদুল হাসান জয় ফিরলেন ৯২ বলে ৪০ রান করে।
একটা উইকেট প্রায়ই আরও উইকেটের দুয়ার খুলে দেয়। জয়ের বিদায় তা দিলও। আগের ইনিংসে রাবাদার ইনকামিং ডেলিভারি স্টাম্প উপড়ে দিয়েছিল মুশফিকের। জয়ের বিদায়ের এক বল পর তার পুনর্মঞ্চায়ন দেখা গেল দ্বিতীয় ইনিংসেও। ৩৯ বলে ৩৩ করে ফেরেন মুশফিক।
প্রতিবেদন লিখতে লিখতে লিটন দাসও গেলেন। কেশভ মহারাজের বলে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে তার ব্যাটের কানায় লেগে তা চলে যায় কাইল ভেরেইনার হাতে। আম্পায়ার শুরুতে আউট না দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকা রিভিউ নিয়ে সফলতা পায়। ১১২ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।
ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশের এখনও চাই ৯০ রান। স্বীকৃত ব্যাটারদের শেষ জুটিটা আছে ক্রিজে।
ক্রিকেট
মিরপুর টেস্ট–৩য় দিন
বাংলাদেশ–দক্ষিণ আফ্রিকা
সকাল ৯–৪৫ মিনিট, গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস
২য় ওয়ানডে
শ্রীলঙ্কা–ওয়েস্ট ইন্ডিজ
বিকেল ৩টা, সনি স্পোর্টস টেন ৫
ইমার্জিং এশিয়া কাপ
পাকিস্তান ‘এ’–আরব আমিরাত
বিকেল ৩টা, স্টার স্পোর্টস ১ ও পিটিভি স্পোর্টস
ভারত ‘এ’–ওমান
সন্ধ্যা ৭–৩০ মিনিট, স্টার স্পোর্টস ১ ও পিটিভি স্পোর্টস
ফুটবল
উয়েফা ইউরোপা লিগ
গালাতাসারাই–এলফ্সবর্গ
রাত ৮–৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ২
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ
ব্রেস্ত–লেভারকুসেন
রাত ১০-৪৫ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ২
আতালান্তা–সেল্টিক
রাত ১০-৪৫ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ১
বার্সেলোনা-বায়ার্ন মিউনিখ
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ২
লাইপজিগ–লিভারপুল
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ৫
ম্যানচেস্টার সিটি–স্পার্তা প্রাগ
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস টেন ১