তারপরও হাল ছাড়ছেন না মারে
এইতো কিছুদিন আগেই বলেছেন উইম্বলডন শেষে সরে দাঁড়াবেন টেনিস থেকে। এছাড়া কোন উপায়ও বুঝি নেই। শারীরিক বাঁধার কাছে হার তো মানতেই হয়! অস্ত্রোপচার করাতে হবে শিগগিরই। তারপর ফেরাটা যে কঠিন তা ভাল করেই জানেন অ্যান্ডি মারে। তবে তার আগে দুঃস্বপ্নের মতোই শেষ হয়েছে তার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন এই ব্রিটিশ তারকা।
সেই ২০০৫-এ যে পথচলা শুরু তা মনে হচ্ছে থেমেই যাবে এবার। মেলবোর্ন অ্যারেনায় সোমবার প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে স্পেনের রবের্তো বাউতিস্তার কাছে ৬-৪, ৬-৪, ৬-৭, ৬-৭, ৬-২ গেমে হারেন মারে। অথচ এই প্রতিযোগিতায় পাঁচবারের রানার্সআপ তিনি।
তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক মারে তার ক্যারিয়ারের শেষ দেখতে পাচ্ছেন। ইনজুরি স্বস্তি দিচ্ছে না তাকে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর আগেই বলছিলেন এ বছরই গুডবাই বলবেন। অবশ্য সোমবার হারের পর ফেরার প্রত্যয় ছিল মারের কথায়। ২০১২ সালের ইউএস ওপেন এবং ২০১৩ ও ২০১৬ সালের উইম্বলডন জয়ী মারে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ।
বলছিলেন, অস্ত্রোপচারের পর শারীরিক অবস্থা বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, ‘আমি জানি বিদায় বলা কতোটা কষ্ঠের। এই লড়াইয়ে হারতে চাইনা! অস্ত্রোপচারের পর অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে চাই। সবাই বলছে উইম্বলডনে খেলো। যদিও আমি বুঝতে পারছি না কী অপেক্ষা করছে।’
এদিকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকে গেলেন পুরুষ এককের দুই ফেভারিট চ্যাম্পিয়ন সুইজারল্যান্ডের রজার ফেদেরার ও স্পেনের রাফায়েল নাদাল। সোমবার রাশিয়ার দেনিস ইস্তোমিনকে ৬-৩, ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারালেন ফেদেরার। ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পথে দারুণ সূচনা হলো এই সুইস তারকার।
মেলবোর্নে দিনের আরেক ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জেমস ডাকওয়ার্থকে ৬-৪, ৬-৩, ৭-৫ গেমে হারালেন নাদাল। শিরোপাতেই চোখ থাকছে ১৭ গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী এই স্প্যানিয়ার্ডের।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মেয়েদের এককে ফেভারিটদেরই জয়জয়কার। রাশিয়ার মারিয়া শারাপোভা সরাসরি সেটে জিতে উঠে গেছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। একই সঙ্গে জয় পেলেন দুই ফেভারিট জার্মানির আঞ্জেলিক কেরবার ও ডেনমার্কের কারোলিন ওজনিয়াকি।