সিলেটকে ডুবিয়ে হারের বৃত্ত ভাঙল বরিশাল

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে হারের বৃত্ত ভেঙেছে ফরচুন বরিশাল। টানা তিন ম্যাচ হারের পর পঞ্চম ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে তামিম ইকবালের দল। তামিমদের হারের বৃত্ত ভাঙার ম্যাচে উল্টো চিত্র মাশরাফি বিন মুর্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্সের। এ নিয়ে টানা পঞ্চম ম্যাচে হরে বসেছে দলটি। মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে সিলেট ম্যাচ হেরেছে ৪৯ রানে। তাতে কোয়ালিফাইয়ারের রাউন্ড খেলা অনেকটাই কঠিন করে ফেলেছে দলটি।

এদিন হারের বৃত্ত ভাঙতে ব্যাট হাতে কাজটা সহজ করে রেখেছিল বরিশালের ব্যাটাররা। স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ৫ উইকেটে ১৮৬ রান। সেই টপকে ম্যাচ জেতা কঠিন যে কোনো দলেও জন্যই। যদিও চলতি বিপিএলে আগেও ১৮০ রানের বেশি টার্গেট ছুড়েও দু’বার ম্যাচ হারার রেকর্ড আছে বরিশালের। তাই নির্ভার থাকার উপায় ছিল না অধিনায়ক তামিম ইকবালের।

বিজ্ঞাপন

এদিন অবশ্য সেটি হয়নি। শুরু থেকেই সিলেটের ব্যাটারদের চাপে রেখেছে বরিশালের বোলাররা। উইকেট পেয়েছে দ্রুতই। তবে মাঝে বিপদ বাড়াচ্ছিলেন জাকির হাসান ও বেনি হাওয়েল। লড়াইয়ের আভাস মিলছিল তাতে। তবে বেশি দূর টানতে পারেননি তারা। জাকির ৩৪ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরার পর হাওয়েলকে ফিরতে হয়েছে ১৯ বলে ২৪ রান করে। ম্যাচটা এক রকম ওখানেই হেরে যায় সিলেট। পরে বাকিরাও হাল ধরতে না পারলে সিলেট গুঁটিয়ে যায় ১৭.৩ ওভারে। সিলেটের ইনিংস থেমেছে ১৩৭ রানে।

এর আগে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে টসে জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। ব্যাট হাতে এদিন অবশ্য ভালো শুরু হয়নি বরিশালের। ৮ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয় তামিমকে। এরপর ৫ বলে ১ রান করে ফিরেছেন প্রিতম কুমরা। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সৌম্যকে নিয়ে সামলে নেন পাকিস্তানের ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ। সৌম্য ১৭ বলে ২০ রান করে ফিরলেও মুশফিককে নিয়ে ফিফটি তুলে নেন শেহজাদ।

সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলকে রানের চাপে পড়তে দেননি তিনি। ফিফটির পর আগ্রাসী হতে শুরু করেছিলেন। তবে এরপর পরই মিস টাইমিংয়ে গড়বড় পাকিয়ে ফেলেন। বেনি হাওয়েলের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন ৪১ বলে ২ ছক্কা ও ৯ চারে ৬৬ রান করা শেহজাদ। টুর্নামেন্টে দারুণ সময় পার করা মুশফিক এদিন অবশ্য খানিকটা হতাশই করেছেন তার ভক্তদের। শুরু পেলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ১৮ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে। অবশ্য মুশফিকের আউটে তার চেয়ে কৃতিত্ব বেশি ফিল্ডার নাঈম হাসানের। বাউন্ডারি লাইনে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে মুশফিককে সাজঘরের পথ ধরতে বাধ্য করেছেন তিনি।

তবে ঠিকই দায়িত্ব নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। মেহেদী মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়ে সিলেটের ব্যাটাদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। দলকে রেখে এসেছেন শক্ত অবস্থানে। ব্যাট হাতে ২৪ বলে ৫১ রান আসে মাহমুদউল্লাহ ব্যাট থেকে। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ১৫ রান। দু’জনের অপরাজিত ইংনিসে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৮৬ রান জমা করে ফরচুন বরিশাল।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
ফরচুন বরিশাল: ১৮৬/৫ (শেহজাদ ৬৬, মুশফিক ২২, মাহমুদউল্লাহ ৫১*, মিরাজ ১৫*; হাওয়েল ৩/২১)
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৩৭/১০ (১৭.৩ ওভার); (শুভ ২৫, জাকির ৪৬, হাওয়েল ২৪; ইমরান ৪/২৯, মিরাজ ২/২১)
ফল: ফরচুন বরিশাল ৪৯ রানে জয়ী।