বিশ্বকাপের সেরা একাদশে ভারতের ৬ ক্রিকেটার

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মাঠের ক্রিকেটের হিসেব নিকেশ শেষ। এবার মাঠের বাইরে যে যার মতো হিসেব নিকেশ করার পালা। কে কাকে কোন জায়গায় খেলাবে? কেমন হবে কম্বিনেশন? কয়টা স্পিনার একাদশে থাকবে? এসব নিয়ে প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে দলগুলো ব্যস্ত ছিল। এবার মাঠের বাইরে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের এবং দর্শকদের পালা নিজেদের বিশ্বকাপ একাদশ বানানোর।

টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল– আইসিসি প্রকাশ করেছে আইসিসি টিম অব দ্য টুর্নামেন্ট। পুরো আসর জুড়ে আধিপত্য দেখানো ভারতের আধিপত্য এখানেও। একাদশের ছয়টা নামই তাদের দখলে। আছে প্রত্যাশিত নামগুলোই। তবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস, ইংল্যান্ড চমকে দেওয়া আফগানিস্তানের কোনো ক্রিকেটারের জায়গা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এই একাদশ নির্বাচনের সিলেকশন প্যানেলে ছিলেন ইয়ান বিশপ, শেন ওয়াটসন, নারী ধারাভাষ্যকার কাস নাইডু, আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খাঁন এবং ভারতীয় সাংবাদিক সুনিল বৈদ্য।

ওপেনিং পজিশনে আছেন টিম ইন্ডিয়ার কাপ্তান এবং ওপেনার রোহিত শর্মা। নিজেকে ভেঙে গড়া রোহিত এবার ১১ ইনিংসে ৫৪.২৭ গড়ে করেছেন ৫৯৭ রান। যেটা টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। স্ট্রাইক রেট ১২৫.৯৪। নামের পাশে এক সেঞ্চুরি আর তিন অর্ধশতক।

ওপেনিংয়ে রোহিতের সঙ্গী প্রোটিয়া ওপেনার এবং উইকেট কিপার কুইন্টন ডি কক। ব্যাট হাতে ৫৯.৪০ গড়ে ১০৭.০২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৯৪ রান। সেই সাথে গ্লাভস হাতে নিয়েছেন ১৯ ক্যাচ আর নয় স্টাম্পিং। শতক হাঁকিয়েছেন চারটা।

তিনে থাকা বিরাট ব্যাট হাতে করেছেন এক বিশ্বকাপে রেকর্ড ৭৬৫ রান। তিন সেঞ্চুরির সাথে ছিল ছয়টা ফিফটি। তার ব্যাটিং গড় ছিল ৯৫.৬২ আর স্ট্রাইক রেট ৯০.৩১। সেই সাথে ৫ ক্যাচ আর এক উইকেট। হয়েছেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট।

ফিল্ডিংয়ে সর্বোচ্চ ১১ ক্যাচ আর ৫৫২ রান করায় চারে জায়গা দেওয়া হয়েছে কিউই ব্যাটার ড্যারিল মিচেলকে। ৬৯ গড় আর ১১১.০৬ স্ট্রাইক রেটের সাথে দুই সেঞ্চুরি আর দুই ফিফটিতে করেছেন এই রান।

৭৫.৩৩ গড়ে ৪৫২ রান করা ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটার লোকেশ রাহুল আছেন একাদশে। ভারতকে ফাইনালে নিতে মিডল অর্ডারে তিনি রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

অজিদের সেমির রাস্তা সোজা হয়েছিলো ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরির মহা-ঐতিহাসিক ইনিংস দিয়ে। এছাড়াও ডাচদের বিপক্ষে ৪০ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছিলেন বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির। ব্যাট হাতে ১৫০.৩৭ স্ট্রাইক রেট আর ৬৬.৬৬ গড়ে ৪০০ রান। বল হাতে নিয়েছেন সাত উইকেট। ছয় নম্বর পজিশনটা তাই তার জন্যই বরাদ্দ।

নাম্বার সেভেনে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ব্যাট হাতে ৪০ গড় আর ১০১.৬৯ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১২০ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস। বল হাতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। ফিল্ডিংয়ে নিয়েছেন সাত ক্যাচ।

পেস আক্রমণের নেতার নাম মোহাম্মদ শামি। প্রথম চার ম্যাচে একাদশেই ছিলেন না। এরপর ছয় ইনিংসে ২৩ উইকেট নিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছেন। সেমিতে নিয়েছেন সাত উইকেট। সবমিলিয়ে সাত ইনিংসে ২৪ উইকেট। যেটা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ। বোলিং গড় ১০.৭০ স্ট্রাইক রেট ১২.২০। পাঁচ উইকেট তিনবার। চার উইকেট একবার।

আরেক ইন্ডিয়ান জাসপ্রিত বুমরাহ এই একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন ২০ উইকেট শিকার করে। সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন একবার। ছিলেন ধারাবাহিক। গড় ১৮.৬৫।

এই একাদশের আরেক পেসার লঙ্কান দিলশান মধুশঙ্কা। বিশ্বকাপে এই বাঁহাতি পেসারের ৯ ইনিংসে শিকার ২১ উইকেট। পাঁচ উইকেট আর চার উইকেট একবার করে।

এই একাদশের অবশিষ্ট ক্রিকেটার অজি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। অজিদের শিরোপা জয়ে যার ভূমিকা ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। ১১ ইনিংসে নিয়েছেন ২৩ উইকেট। চার উইকেট নিয়েছেন তিন বার। দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে আছেন প্রোটিয়া ইয়াং স্টার জেরাল্ড কোয়েৎজে। আট ইনিংসে তার শিকার ২০ উইকেট।