নিউজিল্যান্ডকে হতাশায় ডুবিয়ে ফাইনালে ভারত

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

ভারতের চারশ ছুঁইছুঁই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারালেও আত্মবিশ্বাস হারায়নি নিউজিল্যান্ড। ৩২ ওভার পর্যন্ত বেশ শক্তভাবেই ম্যাচে ছিল তারা। সেঞ্চুরি তুলে মিচেল ও ফিফটি তুলে দলকে টানছিলেন উইলিয়ামসন। দু’জনেই চালিয়ে খেলে ওভার প্রতি রান ব্যবধানটাও কমিয়ে আনছিলেন। তবে শামি এসে ফের গড়বড় করে দেয় কিউইদের ব্যাটিং। ইনিংসের ৩৩ তম ওভারে এসে তুলে নেয় উইলিয়ামসন ও টম ল্যাথামকে। ম্যাচটা ওখানেই ফসকে যায় কিউইদের।
 
তবে হাল ছাড়েননি মিচেল। উইকেটে আসা গ্লেন ফিলিপ্সকে নিয়ে দলকে টেনেছেন দীর্ঘপথ। আশার প্রদীপটা জ্বেলে রেখেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আশার প্রদীপ নেবে তিনি ১৩৪ রানে ফিরলে। এরপর শেষদিকে ফের শামির তোপে কিউইদের ইনিংস থামে ৩২৭ রানে। তাতেই নিশ্চিত হয় আগের দুই আসরের ফাইনালিস্টদের বিদায়। অন্যদিকে ২০১১ বিশ্বকাপের পর ৭০ রানের জয়ে ফের ফাইনালে পা রাখে ভারত।
 
ফাইনালে যেতে ৩৯৮ রান করতে হতো কিউইদের। যেই রান তাড়া করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে জয়ের রেকর্ড নেই কারও। তার ওপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই নেই ফর্মে থাকা দুই ব্যাটার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর উইকেট। তবে একটুও ঘাবড়ে যাননি মিচেল।
 
ব্যাট হাতে নেমে শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলেছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে। এরপর যখন বুঝেছেন না এইবার সব ঠিকঠাক। তখন থেকে ব্যাট চালানো শুরু। ফিফটির পর আগ্রাসী হচ্ছিলেন উইলিয়ামসনও। তবে ৬৯ রানে শামির তৃতীয় শিকার হতে হয়েছে তাকে। এরপর সেঞ্চুরি হাঁকানো মিচেলে থেমেছেন ১৩৪ রানে। শেষ দিকে তাকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন ফিলিপস। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে শামি শিকার করেছেন ৭ উইকেট।
 
এদিন অবশ্য ভারতের ফাইনালে উঠার রাস্তাটা প্রশস্ত করে গিয়েছে ব্যাটাররা। ওয়াংখেড়ে শুরুতে ব্যাট করে রোহিত (৪৭)-গিলের (৮০*) আগ্রাসী শুরুর পর কোহলি (১১৭) ও শ্রেয়াস (১০৫) শতকের দেখা পেয়েছেন। চলতি টুর্নামেন্টে তৃতীয় শতক তুলে শচীন টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে ওয়ানডেতে রেকর্ড ৫০টি সেঞ্চুরির মালিক এখন কোহিল।
 
তার রেকর্ডের দিনে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলেছেন শ্রেয়াস আইয়ার। শেষদিকে ঝড় তুলেছেন রাহুলও (৩৯*)। তাতে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট খরচায় ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৯৭। যেই রান তাড়া করে বিশ্বকাপে জেতার ইতিহাস নেই কারও।