অনেকেই মনে করে ভারতের একমাত্র কাজ বিশ্বকাপ জেতা : আশ্বিন

  • স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিন। ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিন। ছবি : সংগৃহীত

ভারত শেষবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে ২০১১ সালে। এরপর ২০১৩ সালে তারা জয় করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

তারপর আর কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টই জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ট্রফির কাছে গিয়েও জিততে না পারায় শুধুই বেড়েছে হতাশা।

বিজ্ঞাপন

সদ্য শেষ হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও জায়গা করে নেয় তারা। কিন্তু ফলাফল একই। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে ভারতকে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভারতের টানা ব্যর্থতার জেরে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের। কোচ এবং অধিনায়ক পরিবর্তন করেও আইসিসির টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি ভারতীয় দল।

এর মধ্যেই চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভারতের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। এবার ভারত বিশ্বকাপে ট্রফির খরা ঘোচাতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

তবে তার আগে এই মুহূর্তে ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট এবং ওডিআই সিরিজ জিতেছে।

তবে ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হারতে হয় ভারতকে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। তবে পরের ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নেয় ভারত।

এবার সমালোচনা নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতীয় দলের স্পিনার রবিচন্দ্রন আশ্বিন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সেই সব সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন তিনি।

আশ্বিন বলেন, ‘অনেকেই হতবাক হয়েছিলেন যে, আমরা কীভাবে এমন একটি দলের কাছে হারলাম, যে দলটি বিশ্বকাপের খেলার যোগ্যতাও অর্জন করতে পারেনি। অনেকেই মনে করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের একমাত্র কাজ বিশ্বকাপ জেতা। বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমরা নিজেদের ফেভারিট ভাবার প্রধান কারণ হল আইপিএল।’

ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচ হারলেও তৃতীয় ওডিআইতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন ইশান কিষান (৭৭), শুভমন গিল (৮৫) এবং সঞ্জু স্যামসন (৫১)। এদের ব্যাটিংয়ে ভর করে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৫১ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫১ রানেই অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০ রানে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। কিন্তু এই ম্যাচেও ছিলেন না রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি।

কেন এই দুই ক্রিকেটারকে খেলানো হল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন আশ্বিন। তিনি বলেন, ‘ওডিআই ম্যাচগুলো খুবই চাপের। শরীর ঠিক করতে কমপক্ষে দুই দিন সময় লাগে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম দুটি ম্যাচ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে খেলা হয়। সুতরাং, চোট-আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ইতিমধ্যেই এনসিএতে আমাদের অনেক খেলোয়াড় সুস্থ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ বিরতির পর ফিরেছেন বুমরাহ। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণও ফিরে এসেছে। সুতরাং, আমাদের অনেক চোট সমস্যা রয়েছে। মনে হচ্ছে কেন রোহিত-বিরাটকে খেলানো হয়নি তার উত্তর পেয়েছে সাধারণ মানুষ।’

টেস্ট এবং ওডিআই সিরিজ শেষ হয়েছে। এবার শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যদিও এই সিরিজে নেই বিরাট-রোহিতরা। হার্দিক দলের অধিনায়কত্ব পালন করবেন। এই ক্যারিবিয়ান সফরে টেস্ট এবং ওডিআইতে অভিষেক হয়েছে মুকেশ কুমারের। এছাড়াও একাধিক নতুন মুখ রয়েছে।

আশ্বিন মনে করেন নতুনদের জন্য নিজেকে প্রমাণ করারএটাই সুযোগ। তিনি বলেন, ‌‘ভারতীয় দল এখন বিভিন্ন ক্রিকেটারদের দেখে নিচ্ছে। কারণ তারা জানে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তারা কী কষ্ট পেয়েছিল। আমাদের রবীন্দ্র জাদেজা এবং বুমরাহ ছিল না এবং আমাদের অনেক ফাস্ট বোলার ছিল না। তাই ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে আমরা বিভিন্ন বিকল্প চেষ্টা করছি। তবে তরুণদের কাছে এটা একটা সুযোগ নিজেকে প্রমাণ করার।’