আলিউ সিসে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে নকআউট পর্বে

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’
  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সেনেগালের কোচ আলিউ সিসে

সেনেগালের কোচ আলিউ সিসে

আলিউ সিসে। সেনেগাল বিশ্বকাপ দলের কোচ। তার কোচিংয়ে এবারের বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে উন্নীত হয়েছে আফ্রিকার দেশটি।

কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড যেখানে আছে একাধিকজনের, সেখানে কেবল নকআউট পর্বে যাওয়া বড় কোন ঘটনা নয়। তবু আফ্রিকার মতো ফুটবলে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা মহাদেশের জন্যে এটা বড় অর্জনই বলতে হয়।

বিজ্ঞাপন

ব্রাজিলের মারিও জাগালো, জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশম কোচ ও খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।

সেনেগাল বিশ্বকাপ জয়ের ফেবারিট নয়। তার ওপর দলের তারকা ফুটবলার সাদিও মানেকে ছাড়াই খেলতে হচ্ছে তাদের। বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে ইনজুরিতে দল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। তবু মানের মতো তারকা ফুটবলার ছাড়াই বিশ্বকাপে সাফল্য পেয়েছে সিসের দল। কাতার বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে কাতার ও ইকুয়েডরকে টপকে তার সেনেগাল উঠেছে শেষ ষোলোতে। তিন ম্যাচের মধ্যে দুই জয় আর এক পরাজয় গ্রুপ পর্যায়ে। গ্রুপের দ্বিতীয় হয়েছে সেনেগাল, গ্রুপসেরা নেদারল্যান্ডস।

কাতারের এবারের আসরসহ এনিয়ে তিনবার বিশ্বকাপ খেলছে সেনেগাল। প্রথমবার ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান বিশ্বকাপে। সেবার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত উঠেছিল আফ্রিকার দেশটি। আলিউ সিসে ছিলেন সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এরপর তিন বিশ্বকাপ বিরতি দিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা করে নিলেও গ্রুপ পর্যায় পেরুতে পারেনি সেনেগাল।

এবার সিসের কোচিংয়ে খর্বশক্তির দল নিয়েও বিশ্বকাপে দারুণ খেলছে আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ী দলটি। সেনেগালের প্রথম মেজর কোনো শিরোপাও এসেছে আলিউ সিসের হাত ধরে। ২০২২ আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ে দলটির কোচ হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে কোচ হিসেবে ও ২০০২ সালে খেলোয়াড় হিসেবে আফ্রিকান নেশনস কাপে ছিলেন সেনেগাল দলের সঙ্গে।

খেলোয়াড় হিসেবে মহাদেশীয় শিরোপা জিততে না পারলেও কোচ হিসেবে জিতেছেন সিসে। তবে খেলোয়াড় হিসেবে তিনি যেমন বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে নিয়েছিলেন দেশকে, এবার কোচ হিসেবেও নিয়েছেন একই পর্যায়ে।

২০০২ সালের বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলেছিলেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। বিশ্বকাপে এবার তার কোচিংয়ে কয়টি ম্যাচ খেলতে পারে সেনেগাল; এটাই দেখার বিষয়!