শক্তিশালী বেলজিয়ামকে হারিয়ে দিল মরক্কো

  ‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’
  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট ও শক্তিশালী দল বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে মরক্কো। খেলার শুরুর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার খেলেছে মরক্কো ।

বেলজিয়ামের এডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুইনদের নিয়ে গড়া দল বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল হাকিম জিয়েচদের মরক্কো। আক্রমণের পর আক্রমণ করে গোটা ম্যাচই জমিয়ে রেখেছিল মরক্কানরা। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই বল নিয়ে ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠেন হাকিম জিয়েচ। ডান দিক থেকে ডি বক্সে ক্রস করলেও সেই বল রুখে দেন থিবো কোর্তোয়া। এরপর পাল্টা আক্রমণে যায় বেলজিয়াম। ম্যাচের পাঁচ মিনিটের সময় বল পেয়ে গোলমুখে শট করেন মিসু বাতসুইয়াই। তবে তার শট রুখে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক।

বিজ্ঞাপন

এরপর বলের পায়ে ধরে রেখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে বেলজিয়াম। এরপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ করে বেলজিয়াম তবে সুবিধা করতে পারেনি তারা।

প্রথমার্ধের শেষ সময়ে এসে ফ্রি কিক থেকে আসা বল মাথা ছুঁইয়ে জালে জড়ান হাকিম জিয়েচ। তবে অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে শুরু করে। প্রথম সুযোগ পায় মরক্কো। ৫৬তম মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠে ফরোয়ার্ড সুফিয়ান বোফালে দারুণ শট নেন কিন্তু তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এর মিনিট আটেক পর আবারও আক্রমণে যায় মর্কো তবে এবারও ব্যর্থ হয় তারা।

তবে এরপর আর বেশি সময় গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি মরক্কানদের। ম্যাচের ৭৩তম মিনিটে বেলজিয়ামের ডি বক্সের ডান দিকে ফ্রি-কিক পায় মরক্কো। সেখান থেকে ফ্রি-কিকে সরাসরি গোল করেন আব্দেলহামিদ সাবিরি। পিছিয়ে পড়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেলজিয়াম। বেশ কয়েকটি আক্রমণও করে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা।

উল্টো ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে এসে দ্বিতীয় গোল হজম করে বেলজিয়াম।

এই জয়ের পর গ্রুপ এফ-এ এখন শীর্ষে চল এল মরক্কো। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট তাদের ঝুলিতে। দুয়ে থাকা বেলজিয়ামের ঝুলিতে ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট। তিনে ক্রোয়েশিয়া (১ ম্যাচে ১)। কানাডা এক ম্যাচ খেলেও খুলতে পারেনি খাতা। চলতি বিশ্বকাপে ইউরোপের দলগুলোকে কখনও এশিয়া তো কখনও আফ্রিকার দলগুলো চমকে দিচ্ছে।