নাসিম বীরত্বে আফগানদের হৃদয় ভেঙে ফাইনালে পাকিস্তান

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তান

পাকিস্তান

শেষ দিকে আসিফ আলীকে হারিয়ে হারের দ্বারপ্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান। হারিয়ে ফেলেছিল তারা ৯ উইকেট। তবে শেষ উইকেটে ব্যাট হাতে বীরত্ব দেখান নাসিম শাহ। টানা দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় উপহার দিয়েছেন তিনি ৪ বল হাতে রেখেই। তার ব্যাটিং ঝলকে আফগানিস্তানকে এক উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে গেছে ক্যাপ্টেন বাবর আজমের দল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তাদের সঙ্গী হলো শ্রীলঙ্কা।

শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১১ রান। কিন্তু হাতে উইকেট ছিল মাত্র একটি। ১৯তম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন নাসিম। শেষ ওভারে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনিই চমকে দেন ক্রিকেট দুনিয়া। স্নায়ুচাপ সামলে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ফজলহক ফারুকীকে প্রথম দুই বলেই ছক্কা মেরে উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে দেন দলকে। লক্ষ্য টপকে ১৯.২ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩১ তুলে জয়ের মালা গলায় তোলে পাকিস্তান।

বিজ্ঞাপন

ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ২০ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন ম্যাচসেরা শাদাব খান। আর ৩০ রান আসে ইফতিখার আহমেদের ব্যাট থেকে। ১৬ রান যোগ করে ফেরেন আসিফ আলী। ৪ বলে দুই ছক্কায় ১৪* রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে তবেই মাঠ ছাড়েন নাসিম শাহ।

আফগানিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ফজলহক ফারুকী ও ফরিদ আহমেদ। দুটি উইকেট পান রশিদ খান।

ফাইনালে উঠার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। এবং সেটা এক ম্যাচ হাতে রেখেই। লক্ষ্যে অটুট থেকে ক্ষুরধার বোলিং করে যায় পাকিস্তান। তাতেই প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে ১২৯ রানে ধসিয়ে দেয় তারা।

শুরুতে ব্যাটিং ঝলক দেখান আফগান ব্যাটসম্যানরা। চতুর্থ ওভার শেষ হওয়ার আগে বিনা উইকেটেই তারা তুলে ফেলে ৩৬ রান। এরপরই হারিস রউফের আঘাতে ভেঙে যায় রহমানুল্লাহ গুরবাজের (১৭) উইকেট। দলীয় ৪৩ রানে আফগানরা হারায় দ্বিতীয় উইকেট। পঞ্চম ওভারে এক বল বাকি থাকতেই নাই হয়ে যায় হজরতুল্লাহ জাজাইয়ের (২১) উইকেট। দলীয় স্কোর তখন ৪৩।

তবে দলের বিপদ কাটিয়ে উঠে ব্যাট হাতে লড়াই করে যান ইব্রাহিম জাদরান। খেলেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস। তার ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল ২ বাউন্ডারি ও এক ছক্কা। তাকে সঙ্গ দেন করিম জান্নাত। তবে তিনি ব্যক্তিগত স্কোরটা বড় করতে পারেননি ১৫ রান নিয়ে ধরেন সাজঘরের পথ। দুজনের জুটি দাঁড়ায় ৩৯ বলে ৩৫ রানের। পরে পাকিস্তানের ক্ষুরধার বোলিংয়ের দাপটে আস্তে আস্তে কমে যায় আফগানদের রানের গতি। নাজিবুল্লাহ জাদরান যোগ করেন মাত্র ১০। শেষ দিকে ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখালেও দলীয় সংগ্রহটা বড় করতে পারেননি আজমাতুল্লাহ ওমরজাই (১০*) ও রশিদ খান (১৮*)। যদিও দুজনে থেকে যান অপরাজিত।

পাকিস্তানের হয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন হারিস রউফ। এজন্য তিনি খরচ করেন ২৬ রান। একটি করে উইকেট পান নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খান।

তার আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য সহায় হয় পাকিস্তানের। টস জিতেই ফিল্ডিং বেছে নেন ক্যাপ্টেন বাবর আজম। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানকে জানান তিনি শুরুতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ। তাই তো লড়াইয়ের শুরুতেই ব্যাট হাতে মাঠে নামে আফগানরা।