ভারতকে বিদায় করে ফাইনালের দৌড়ে টিকে রইল শ্রীলঙ্কা
ভারতের জন্য লড়াইটা ছিল বাঁচা-মরার। সেই লড়াইয়ে জিততে ব্যর্থ হলো রোহিত শর্মার দল। কুশল মেন্ডিস-পাথুম নিসানকার ব্যাটিং দাপটে শ্রীলঙ্কা জিতল ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ভারতীয়দের বিদায় করে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে টিকে রইল লঙ্কানরা। জয়টা ধরা দিলো এক বল বাকি থাকতেই।
ভারতের একটি ম্যাচ এখনো বাকি। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচ জিতলেও কোনো লাভ হবে না। কাগজে কলমে হলেও পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে জিইয়ে রইল আফগানিস্তানও।
পাথুম নিসানকা ও কুশল মেন্ডিসের জোড়া ফিফটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে তারা।
দুরন্ত ব্যাটিংয়ে কুশল মেন্ডিস এনে দেন ৫৭ রান। তার ওপেনিং পার্টনার নিসানকা উপহার দেন ৫২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। দুজনে মিলে ৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটি বেঁধে গড়েন জয়ের ভিত। ভানুকা রাজাপাকসে ২৫* রান করে অপরাজিত থেকে যান। ১৮ বলে ৩৩* রানের হার না মানা দুরন্ত এক ঝড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাচসেরা দাসুন শানাকা।
ভারতের হয়ে তিনটি উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহাল। একটি উইকেট পান রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
তার আগে টস হেরে রোহিত শর্মা-সুর্যকুমার যাদবের নৈপুণ্যে দারুণ ব্যাটিং করে ভারত। সমান তালে বোলিং তোপ দাগিয়েছেন লঙ্কানরাও। সেই বাধা সামলে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে কোহলিরা দাঁড় করায় ১৭৩ রানের লড়াকু পুঁজি।
দলীয় ১১ রানে ওপেনার লোকেশ রাহুলকে ফেরান মহেশ ঠিকশানা। সাজঘরের পথ ধরার সময় তার ব্যক্তিগত দাঁড়িয়েছিল সবে ৬ রান। ভারতের দলীয় সংগ্রহে ২ রান যোগ হতেই পেস বোলিংয়ে ঝড় তুলে ফেলেন দিলশান মাদুশানকা। আগুনে বোলিংয়ের তোপে ভেঙে দেন সাবেক ভারতীয় ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির উইকেট। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকালেও এ ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি কোহলি।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় ভারত। তবে উইকেটে থিতু হয়ে পড়েন রোহিত শর্মা চমৎকার ব্যাটিং ঝলকে কাটিয়ে উঠেন বিপর্যয়। রোহিত ৪১ বলে খেলেন ৭২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। তার অধিনায়কোচিত ইনিংসে ছিল ৫ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কা।
রোহিতের সঙ্গে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট যা একটু কথা বলেছে। সাজঘরে ফেরার আগে তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ৫৮ বলে গড়েন ৯৭ রানের দুরন্ত এক পার্টনারশিপ ভারতীয় এ ওপেনার। সূর্যকুমার ২৯ বলে এনে দেন ৩৪ রান। পরে ঋষভ পান্ত ও হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট হাতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি। কিন্তু দুজনের ব্যাট থেকেই এসেছে সমান ১৭ রান করে। বোলিং অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিন অপরাজিত থেকে যান ১৫* রানে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে একাই তিন উইকেট শিকার করেছেন দিলশান মাদুশানকা। তবে খরচ করেন তিনি ২৪ রান। দুটি করে উইকেট নেন চামিকা করুনারত্নে ও দাসুন শানাকা। একটি উইকেট পান মহেশ ঠিকশানা।