মুস্তাফিজ আর অটো চয়েজ নেই
মুস্তাফিজ রহমান এক সময় ছিলেন অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে হিসেব-নিকাশ করতো প্রতিপক্ষ। যদিও সেই সময় অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছেন দেশসেরা এই পেসার। বিশেষ করে চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে তার পারফরম্যান্সও গড়পড়তার নিচে।
এমন পারফরম্যান্সের পর জাতীয় দলে মুস্তাফিজ আর 'অটো চয়েজ' থাকছেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। বোলিংয়ে বৈচিত্র্য থাকলেও মুস্তাফিজ তা কাজে লাগাতে পারছেন না বলে মনে করেন সুজন।
এ প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘আমরাও এটা (অটো চয়েজ) নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন। আমরাও যে জানি না তা না। প্রশ্নটা একদম নতুন না আমাদের কাছে। আমরা যে এটা নিয়ে ভাবছি না তা না। তবে আমি বিশ্বাস করি, সে এখনও সেরাদের একজন। ওর যে বৈচিত্র্য আছে বোলিংয়ে, সেটা হয়তো আমাদের অনেক পেসারের নেই। হয়তো ওই বৈচিত্র্য কাজে লাগছে না বা ও বাস্তবায়ন করতে পারছে না। কিছু একটা হচ্ছে।‘
চলতি বছর কোনো টি-টোয়েন্টিতে দুটির বেশি উইকেট নিতে পারেননি মুস্তাফিজ। ৯ ম্যাচে খেলে ৮ ইনিংসে বল হাতে নিয়েছেন কেবল ৫ উইকেট। মুস্তাফিজের পুরো ক্যারিয়ার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় উইকেট প্রতি তিনি খরচা করেছেন ২০.৯৪ করে। সেখানে চলতি বছর প্রতি উইকেট পেতে তার খরচা হয়েছে ৪৫.৬০ করে। মুস্তাফিজের বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে টিম ম্যানেজমেন্টও।
সুজন বলেছেন, ‘এটা খুব উদ্বেগজনক যে, গত ১৫-১৬ ম্যাচে মুস্তাফিজ সেভাবে উইকেট পাচ্ছে না, ইকোনমি রেটও ভালো না। তবে অটো চয়েজ বলে কিছু নেই। তারপরও এই ফরম্যাটে আমরা সব সময় ওকে এগিয়ে রাখি, ওর অভিজ্ঞতা, আইপিএলে খেলে, সব কিছূ মিলিয়ে এই সংস্করণে আমাদের ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে মুস্তাফিজই। ওই হিসেবে মুস্তাফিজকে এগিয়ে রাখা হয়।’
বেশ কয়েকটি ম্যাচে মুস্তাফিজের বাজে বোলিংয়ের কারণে ম্যাচ বেরিয়ে গেছে বাংলাদেশের হাত থেকে। আবার অনেক সময় অন্য বোলারদের বাজে পারফরম্যান্সে ঢাকা পড়ে গেছে মুস্তাফিজের হতশ্রী বোলিং। যদিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে এই টাইগার পেসারদের বোলিংয়ের কঙ্কাল ফুটে উঠেছে।
এই ম্যাচে ৩ ওভারে ৩০ রান খরচা করলেও মুস্তাফিজ ছিলেন উইকেটশূন্য। বিশেষ করে ১৭তম ওভারে এসে তার ১৭ রানই বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশ থেকে মুস্তাফিজ বাদ পড়ছেন কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন।