হার দিয়ে শুরু টাইগারদের এশিয়া কাপ

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন

শুরুতে ব্যাটিং ব্যর্থতা। শেষে বোলিংয়ে ক্ষুরধারহীন অচেনা রূপ। ফলে হার দিয়েই এশিয়া কাপ শুরু করল টাইগাররা। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের রীতিমতো ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। ১২৮ রানের সহজ লক্ষ্য টপকে আফগানরা বড় জয় পেয়েছে ৯ বল হাতে রেখেই। দুর্দান্ত টানা দুই জয়ে প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্টের সুপার ফোরে পৌঁছে গেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। প্রথম ম্যাচে তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল লঙ্কানদের। 

শুরুর দিকে টাইগাররা খানিকটা দাপট দেখিয়েছেন। ৬৩ রানে তিন উইকেট ফেলে জয়ের স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ইব্রাহিম জাদরান ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটিং দৃঢ়তার কাছে আত্মসমর্পণ করেন দেশের ক্রিকেটাররা। 

বিজ্ঞাপন

ইব্রাহিম ৪১ বলে খেলেন হার না মানা ৪২* রানের ঝড়ো এক ইনিংস। তার এই চমৎকার ইনিংসে ছিল চারটি বাউন্ডারির মার। নাজিবুল্লাহ ব্যাট হাতে ছিলেন আরও বিধ্বংসী। হাতের ব্যাটকে রীতিমতো খোলা তলোয়ারই বানিয়ে বোলারদের কচু কাটা করে ছাড়েন। ১৭ বলে উপহার দেন ৪৩ রানের দুরন্ত এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। যাতে ছিল এক বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কা। 

তার আগে ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ২৩ ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১১ যোগ করেন। ১৮.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য টপকে ১৩১ রান তুলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।

বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সাকিব আল হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেন।

তার আগে বল হাতে দাপট দেখান ম্যাচসেরা মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান। ফল হওয়ার তাই হয়েছে। অল্প পুঁজিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। শুরুতে ব্যাট হাতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১২৭ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।

৬ রান করতেই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের উইকেট ভেঙে দেন এ তারকা স্পিনার। বাংলাদেশের দলীয় স্কোর তখন মাত্র ৭ রান। পরে একে একে বিদায় করে দেন অন্য ওপেনার এনামুল হক বিজয় (৫) ও ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসানকে। ক্যাপ্টেন সাকিব হতাশ করেছেন ১১ রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরে।

মুজিবের স্পিন বিষের মাঝেই ঘূর্ণি জাদু নিয়ে হাজির হন রশিদ খান। দলীয় সংগ্রহ ২৮ হতেই এবার রশিদ খানের এলবিডব্লিউ’র শিকার হন মুশফিকুর রহিম (১)। ১২ রান যোগ করে রশিদের বলে একইভাবে আউট হন বর্তমানে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার আফিফ হোসেন। দলের পুঁজি তখন ৫ উইকেটে ৫৩।

তবে দলের বিপদ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৭ বলে এনে দেন ২৫ রান। তার সঙ্গে ব্যাট হাতে জ¦লে উঠেন মোসাদ্দেক হোসেন। দলের স্কোরটা ১০০ রান পেরিয়ে যায়। তবে ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেও অর্ধ-শতকের দেখা পাননি। অপরাজিত থাকলেও দুই রানের অক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এ স্টার অলরাউন্ডার ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৪৮* রানের হার না মানা কার্যকরী ও চমৎকার এক ইনিংস খেলেন।

শেষে তার ব্যাটিং সঙ্গী মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। আফগানিস্তানের জার্সি গায়ে ১৬ রান খরচ করে তিন উইকেট শিকার করেন মুজিব উর রহমান। তার সঙ্গে সমান তিন উইকেট পান রশিদ খানও।