আপিল খারিজ, অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হবে জোকোভিচকে
অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। প্রথমবার জয়ী হলেও এবার আর পারলেন না। হেরে গেলেন আইনী লড়াইয়ে। সার্বিয়ান তারকার আপিল খারিজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক ফেডারেল কোর্ট। তাই এখন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকাকে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হবে।
আদালত `সর্বসম্মত’ভাবে আদেশ দিয়েছেন। বিচারক স্পষ্ট করেছেন যে মামলাটিকে নির্বাহী শাখার বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা হিসাবে দেখা উচিত এবং আপিলহিসেবে নয়।
দ্বিতীয়বার ভিসা বাতিলের পর আটক হন নোভাক জোকোভিচ। এবার তাকে ছাড়তে হবে অস্ট্রেলিয়া। ফলে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম টেনিস টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না এ টেনিস মেগাস্টার। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ট্রফি ধরে রাখার মিশনে নামতে পারবেন না।
জনস্বাস্থ্যর জন্য হুমকি ঘোষণা করে ফের জোকোভিচের ভিসা বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এ নিয়ে আজ রোববার, ১৬ জানুয়ারি হয় শুনানি। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় করোনা প্রতিরোধী টিকা না নেয়ায় সার্বিয়ান এ সুপারস্টার অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে পারবেন না।
এখন আবার ভিসা বাতিল হওয়ায় নতুন করে অস্ট্রেলিয়ান ভিসা প্রাপ্তিতে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন জোকোভিচ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেটা কমানো হতে পারে।
মেলবোর্নের টুলামারিন বিমানবন্দরে পৌঁছলে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড়কে আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ। সার্বিয়ান এ সুপারস্টারের ভিসা বাতিল করে দেশটি। অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স (এবিএফ) অফিসিয়ালরা জানিয়ে দেন, জোকোভিচকে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হবে। টেনিস সুপারস্টারকে পাঠানো হয় সরকার নির্ধারিত একটি ডিটেনশন হোটেলে।
অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন নোভাক জোকোভিচ। কোর্টের সেই লড়াইয়ে জিতেও গেছেন। ভিসা ফেরত পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় রয়ে গেছেন বিশ্বের এ নাম্বার ওয়ান টেনিস খেলোয়াড়। করেন অনুশীলনও।
কিন্তু দ্বিতীয়বার জোকোভিচের ভিসা বাতিলের করেন ইমিগ্রেশন মিনিস্টার অ্যালেক্স হক। এবার কোর্টের দ্বারস্থ হলেও লড়াইয়ে হেরে গেলেন ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক।