দুই রাত আইসিইউ’তে ছিলেন রিজওয়ান
সেমি-ফাইনালের আগে জ্বরে ভুগছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার সঙ্গে জ্বর পেয়ে বসেছিল শোয়েব মালিককেও। তবে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রিজওয়ানের শারীরিক অবস্থা ছিল বেশ বাজে।
ফুসফুসের সংক্রমণটা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে হয়েছিল রিজওয়ানকে। শুধু তাই নয়, তাকে দুই রাত কাটাতে হয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)!
পরে অবশ্য মেডিকেল টিমের ছাড়পত্র দিয়ে শেষ চারের ম্যাচে খেলেন রিজওয়ান ও মালিক। ব্যাট হাতে মাঠে নামার পর বোঝাই যায়নি যে রিজওয়ান এতটা অসুস্থ ছিলেন।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ওপর চড়াও হন। ব্যাট হাতে রীতি তাণ্ডব চালান। ৫২ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৬৭ রানের দাপুটে এক ইনিংস। এতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক বর্ষপঞ্জিতে এক হাজার রান সংগ্রহের কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। তার আগে ক্রিস গেইলকে হারিয়ে রিজওয়ান গড়েন এক বর্ষপঞ্জিতে টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক রানের রেকর্ড।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের ৫ উইকেটে হার মানার পর রিজওয়ানের অসুস্থতা নিয়ে পাকিস্তান দলের চিকিৎসক নাজিব সুমরো বলেন, ‘৯ নভেম্বর ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ দেখা দেয় রিজওয়ানের। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং দুই রাত তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিলেন। এরপর অবিশ্বাস্যভাবে সেরে উঠে ম্যাচের আগে ফিট হয়ে ওঠেন। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা তার নিবেদন এবং দৃঢ়তা দেখেছি। পাকিস্তানের জন্য খেলার জন্য তার স্পিরিট আমরা দেখেছি। এবং আজ (বৃহস্পতিবার) তিনি কেমন পারফরম করেছেন, সেটা সবাই দেখেছে।’
এমন খারাপ খবর আগে কেন জানানো হলো না। এ নিয়ে নজিব বলেন, ‘তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সব সিদ্ধান্ত আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। দলের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখার জন্য এটা আমরা বাইরে জানাইনি।’