ওয়ানডে সংস্করণেও বিসিএল আয়োজন করবে বিসিবি
করোনাকালে বন্ধ ছিল বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টগুলো। প্রতিকূলতা পেরিয়ে এক এক করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ইতোমধ্যে মাঠে গড়িয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ, জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়ন্টি কাপ। তবে করোনাকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ বা বিসিএল এখনো আলোর মুখ দেখেনি বিসিবি।
এখন চলছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। এই আসর শেষ হলেই বিসিএল আয়োজন করতে চায় বিসিবি। আজ বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর মিরপুরে এমনটাই জানান বোর্ড পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। সঙ্গে নতুন টিম ডিরেক্টর দিয়েছেন একটি সুখবরও। বিসিএলে প্রথম শ্রেণির আসর তো থাকছেই। সঙ্গে এই টুর্নামেন্ট প্রথমবারের মতো হবে ওয়ানডে সংস্করণেও।
ওয়ানডে সংস্করণে বিসিএল আয়োজন নিয়ে সুজন বলেন, ‘বিসিএল ওয়ানডে ফরম্যাটের কথা চিন্তা করছি। যেহেতু প্রিমিয়ার লিগের আগে ওয়ানডে ফরম্যাটের কোনো খেলা নেই। দ্বিতীয় রাউন্ড সম্পন্ন করার মতো সময়ও নেই। সামনে আবার বিপিএল আছে। সূচি ঠাসা হয়ে গেছে। তাই ওয়ানডে ফরম্যাটের একটা টুর্নামেন্ট হতে পারে। প্রথম শ্রেণির খেলা সিঙ্গেল রাউন্ড হওয়ারই কথা। ওয়ানডেও মনে হয় সিঙ্গেল রাউন্ড হবে।’
চার দল নিয়ে হয় চার দিনের আসর বিসিএল। আর ফাইনাল হয় পাঁচ দিনে। এবারের সিঙ্গেল রাউন্ডের এ সাদা পোশাকের টুর্নামেন্টের পর মাঠে গড়াতে পারে একদিনের সংস্করণের এ আসর।
বিসিএল শুরু হতে পারে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে। সুজন বলেন, ‘বিসিএল তো শুরু করতেই হবে। ডিসেম্বর ৭-১০ তারিখের মধ্যে শুরু করতে চাই। আমি শুধু একটা কথাই বলেছি- আমরা যেন ভালো উইকেট তৈরি করতে পারি, বাউন্সি উইকেট তৈরি করতে পারি। মাঠগুলোকে বিশ্রাম দিয়ে খেলা আয়োজন করলে ভালো হবে। কোচদের পারিশ্রমিক বাড়াতে চাই।’
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ থাকায় বিসিএল মাঠে গড়ালেও পাওয়া যাবে না জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। সুজনের ব্যাখ্যা, ‘জাতীয় দলের কথা চিন্তা করলে তো বাংলাদেশে কোনো খেলাই হবে না। জাতীয় দলের যে ব্যস্ত সূচি, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে পাওয়ার কথা চিন্তা করলে হবে না। যেহেতু ওরা টেস্টের সফরে যাবে, ওদের ছাড়াই হয়ত খেলতে হবে। পাকিস্তানের সাথে টেস্ট শেষ করার কিছু দিন পরেই আবার নিউজিল্যান্ডে যাবে। তাই বিসিএল হয়ত ওরা মিস করবে।’