অভিষেক সেঞ্চুরিতে লর্ডসে কনওয়ের নতুন ইতিহাস

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে

সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে

টম লাথাম, কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলরদের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন ডেভন কনওয়ে। টেস্ট অভিষেকেই আদায় করে নিলেন দুরন্ত এক সেঞ্চুরি। সুবাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে টেনে তুলেছেন তিনি খাদের কিনারা থেকে।

ডেভন কনওয়ের টি-টোয়েন্টি ও একদিনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুটাও ছিল দুর্দান্ত। এবার টেস্ট অভিষেকেই পেলেন জাদুকরী তিন অঙ্কের টাকা দেখা। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘ক্রিকেটের মক্কা’ লর্ডসে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ডেভন কনওয়ে। অতিথি দলের হয়ে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এ কৃতিত্ব ছুঁলেন তিনি। নিজের নাম লেখালেন লর্ডসের অনার্স বোর্ডে। উদ্বোধনী এ ব্যাটসম্যানের ঐতিহাসিক শতকের ওপর ভর করে সফরকারীরা হাঁটছেন বড় সংগ্রহের দিকে। প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে তিন উইকেটে ২৪৬ রান।

বিজ্ঞাপন

দলের বিপদ কাটিয়ে চতুর্থ উইকেটে হেনরি নিকোলসের সঙ্গে ২৮৯ বলে ১৩২* রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ গড়ে এখনো উইকেটে টিকে আছেন ডেভন কনওয়ে। ২৪০ বলে ১৬ চারে ১৩৬* রান তুলে এখনো ব্যাটিংয়ে আছেন ডেভন কনওয়ে। ১৪৯ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪৬* রান নিয়ে তাঁকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন হেনরি নিকোলস।

লর্ডসের ১৩৭ বছরের ইতিহাসে টেস্ট অভিষেকে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেললেন ডেভন কনওয়ে। এর আগে ১৯৯৬ সালে লর্ডসে সৌরভ গাঙ্গুলী খেলেছিলেন ১৩১ রানের ইনিংস। দেশের বাইরে টেস্ট অভিষেকে নিউজিল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যানের এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০১০ সালে আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে উইলিয়ামসন খেলেন ১৩১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।

বিজ্ঞাপন

আগের চার টেস্ট ইনিংসে তিনটি শতক হাঁকিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। তার মধ্যে দুটি ছিল ডাবল সেঞ্চুরি। কিন্তু সেই কিউ অধিনায়ক ফিরেছেন মাত্র ১৩ রান নিয়ে। ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত পেসার অলি রবিনসন নেন দুই উইকেট। বাকি উইকেটটি যায় জেমস অ্যান্ডারসনের পকেটে। এ ম্যাচেই ইংল্যান্ডের হয়ে অ্যালিস্টার কুকের সর্বোচ্চ ১৬১ টেস্ট খেলার রেকর্ড স্পর্শ করেছেন জেমস অ্যান্ডারসন।

লন্ডনের লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। প্রায় দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে ইংলিশ ক্রিকেটাররা। গ্যালারিতে ছিল প্রায় সাড়ে ৬ হাজার দর্শক। আর ৬৫৪ দিন পর লর্ডসে ফিরল লাল বলের লড়াই। তবে ২০১২ সালের পর এই প্রথম দেশের মাটিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ড খেলছে কোনো স্পিনার ছাড়াই।