ফিফটি করে ফিরলেন মোসাদ্দেক
দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি করে দলের ব্যাটিং লাইন-আপের হাল ধরার আভাস দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু নাহ! সেটা আর হলো না। হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হতেই সাজঘরের পথ ধরলেন তিনি। রমেশ মেন্ডিসের বলে ক্যাচ আউট হলেন মোসাদ্দেক। তার পর ১৬ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেনও।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭.২ ওভার শেষে ১৫৮ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে টাইগাররা। ৩৩ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার আগে বিদায় নেন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এ তারকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন মাত্র ২৮ রান নিয়ে।
ব্যাট হাতে মাঠে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২৮ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে তিনে নামা সাকিব আল হাসানের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় টাইগাররা। তিনটি উইকেটই পেয়েছেন দুষ্মন্ত চামিরা।
চামিরার পেস তোপ সামলে উঠতে না পেরে ১৭ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম। লিটন দাসের বদলে মাঠে নামা ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখও ব্যর্থ। তার সংগ্রহ মাত্র ১ রান। ব্যাট হাসাতে পারলেন না বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিবও। মাত্র ৪ রান নিয়ে ফেরেন এ ক্রিকেট মহাতারকা।
মিরপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কুশল পেরেরা ও ধনাঞ্জয়ার ব্যাটিং তাণ্ডবে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করতে হলে টাইগারদের দরকার এখন ২৮৭ রান।
কুশল পেরেরা দাপুটে ব্যাটিংয়ে দুরন্ত এক সেঞ্চুরি আদায় করে নিলেন। খেললেন ১২২ বলে ১১ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১২০ রানের চমৎকার এক ক্রিকেটীয় ইনিংস। তবে সেঞ্চুরি মিস করতে পারতেন তিনি। যদি মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ব্যক্তিগত ৯৭ রানে তার তুলে দেওয়া ক্যাচ ধরতে পারতেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উল্টো জীবন পেয়ে প্রথম লঙ্কান অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে শতক হাঁকানোর রেকর্ড গড়লেন পেরেরা।
তবে ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থেকে যান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৭০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে এ তারকা লঙ্কান অলরাউন্ডার খেলেন ৫৫* রানের হার না মানা অসাধারণ এক ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি তাসকিন আহমেদ। কিন্তু তৃতীয় ওয়ানডেতেই বোলিং ছন্দটা ফিরে পেয়েছেন এ তারকা টাইগার পেসার। শিকার করলেন ৪ উইকেট। এতেই উইকেট শিকারে ফিফটি করে ফেলেছেন তাসকিন। কিন্তু তার সতীর্থ বোলাররা ঠিক আলো ছড়াতে পারলেন না। যে কারণে শ্রীলঙ্কাকে অল্পতে আটকে রাখা সম্ভব হলো না।