কোচ ডমিঙ্গোর দৃষ্টিতে বাংলাদেশই ফেভারিট
দশ ম্যাচ ধরে জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ। টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই ব্যর্থতার গল্প লিখে চলেছে টাইগার ক্রিকেটাররা। আগামীকাল রোববার, ২৩ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পথে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে।
কেননা ওয়ানডে সংস্করণটা বাংলাদেশের খুব পছন্দের। তার প্রমাণ ঘরের মাঠে তামিম ইকবালদের দাপট। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর দেশের মাটিতে মাত্র একটি ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। সেও আবার ২০১৬ সালে ডিফেন্ডিং বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে সর্বশেষ হোম ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধান হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলার দামাল ছেলেরা। সুখ স্মৃতিটা নিশ্চিত লঙ্কা সিরিজে সঙ্গী হবে টাইগারদের।
ঘরের মাঠের সেই পরিসংখ্যানই টাইগারদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে জয়ের। দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখাতে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। আজ শনিবার, ২২ মে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও জানালেন সেই আত্মবিশ্বাসের কথা, ‘আমরা খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। তাই বলে শুধু অতীত আকড়ে ধরে থাকতে চাই না। শিক্ষা নিয়ে দৃষ্টি দিতে চাই সামনে। আগামীকাল নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে জয়ের সুযোগ তৈরি হবে। ম্যাচের ফল তো সব সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে না। কিন্তু আমরা নিজেদের প্রস্তুতি, ভাবনা ও মানসিকতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।’
তরুণ্য নির্ভর দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে শ্রীলঙ্কা। সিনিয়ররা ছিটকে পড়েছে দল থেকে। কিন্তু তারপরও লঙ্কানদের সামর্থ্য এখনো বাংলাদেশের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তবু হোম কন্ডিশনে এগিয়ে থাকার কথা মাথা রেখে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ফেভারিট মানছেন কোচ, ‘দুই দলই সমান সামর্থ্যের দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঘরের মাঠের সুবিধা অনেক বড় বিষয়। তাই ফেভারিট হিসেবেই সিরিজ শুরু করব আমরা। শ্রীলঙ্কাকে ছোট করে দেখতে পারি না। তাদের বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। সন্দেহ নেই, তারা নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর চেষ্টা করবে।’
দলে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে চোট কাটিয়ে বোলিং করছেন তারকা অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যে কারণে দলে একটা ভারসাম্য আনা যাবে। দলে ঢুকতে পারবেন তিন পেসার। এমনটাই জানালেন প্রোটিয়া এ ক্রিকেট গুরু, ‘তিন পেসার খেলানো যেতে পারে। আগামীকাল হয়তো তিন ফাস্ট বোলার নিয়েই নামব। সাকিব দলে ফিরেছে। আর রিয়াদ বোলিং শুরু করেছে। তাই স্পিন বোলিং আক্রমণ নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।’
তামিম-সাকিবদের বিকল্প এখনই গড়তে চান কোচ ডমিঙ্গা। কেননা সিনিয়র ক্রিকেটাররা সব সময় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না। তারা তো আর সারা জীবন ক্রিকেট খেলবেন না। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘মুশফিক, তামিম, সাকিব ও রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আমাদের দলে রয়েছে। তবে দুই-একজন তরুণকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা ও সুযোগ দেওয়া সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আফিফ হোসেনের মতো তরুণ ক্রিকেটার দলে আসতে পারে। দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব রাখতে পারে। সিনিয়র ক্রিকেটার থাকার পাশাপাশি তরুণদের উন্নতিও গুরুত্বপূর্ণ। সিনিয়ররা তো আজীবন থাকবে না। ইনজুরি আঘাত করবে, ফর্ম পড়ে যাবে। তাই নিশ্চিত করতে হবে ক্রিকেটারদের সংখ্যার পরিধি যেন বাড়ে।’