প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিদায়টা ভাল হলো না ইমরুল কায়েসের। নিজের শেষ ম্যাচটির দুই ইনিংসে তার রান যথাক্রমে ১৬ ও ১! আজ আবার হারল তার দল। সব মিলিয়ে সাদা পোশাকের শেষ ম্যাচটা সুখকর হলো না এই তারকা ক্রিকেটারের।
টেস্ট দলে তিনি নেই সেই ২০১৯ সালের পর থেকেই। ভারতের বিপক্ষে গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্ট খেলেন ইমরুল। তারপর সেই যে বাদ শেষ অব্দি ওই ম্যাচটাই ক্যারিয়ারের শেষ হয়ে থাকল।
আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিজের শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে লাল বলের ক্রিকেটকে গুডবাই বললেন ইমরুল। বিদায় বেলায় জানালেন-তার চোখে সেরা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এসেছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নামও।
সাদা পোশাকে দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি ঘটল। ফেলে আসা দিন নিয়ে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘সেই ২০০৬ সালে যখন আমার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়, আমি ভাবিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে এতগুলো টেস্ট খেলতে পারব। সব শেষে এখন যেভাবে বিদায় নিলাম, আমি খুব খুশি যে বাংলাদেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পেরেছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
১৮ বছর শেষে এসে মাত্র ৩৯ টেস্ট। অবশ্য এটা নিয়ে মন খারাপ করছেন না তিনি। সাফ জানালেন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটাই বড় কিছু। বলেন, ‘এক টেস্ট হোক পঞ্চাশ টেস্ট বা একশ টেস্ট খেলেন, বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করাই বড়। প্রায় ১০-১২ বছর দলের সঙ্গে থেকেছি, খেলেছি বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন দেশে। এটা আমার জন্য অনেক গর্বের ছিল। আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটিং করে হোক বা কিপিং করে হোক, দলের প্রয়োজনে অবদান রাখতে লড়ে গেছি।’
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ইমরুল কায়েসের চোখে সাকিব আল হাসান সেরা অধিনায়ক। সেরা উদ্বোধনী সঙ্গী তামিম ইকবাল। জানালেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন।
আর বিদায় বেলায় কোন আক্ষেপও নেই ইমরুলের, ‘আমার হয়তো আরও ভালো টেস্ট ক্যারিয়ার হতে পারত। তবে যেটা হয়নি সেটা নিয়ে এখন আফসোস মনে করি না। যা হয়েছে তার জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’
ইমরুল কায়েস এখন অস্ট্রেলিয়াতেই আবাস গড়বেন। তার পরিবার এখন সেখানেই থাকছে। তিনিও বছরের বেশির ভাগ সময় সেখানে পরিবারের সঙ্গে থাকবেন। একটি ক্রিকেট একাডেমি অস্ট্রেলিয়ায় গড়ে তুলতে চান। কাজ করতে চান সেই দেশটির কোচদের সঙ্গেও।