অবিশ্বাস্য কিছুর প্রত্যাশায় ডমিঙ্গো
দুরন্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্সে প্রথম ইনিংসেই রানের পাহাড় গড়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে ঘোষণা করে ইনিংস। জবাবটা ভালোই দিচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুর দিকের ব্যাটিং দৃঢ়তা পরে আর ধরে রাখতে পারে টাইগাররা।
দলীয় ২২৪ রানে জোড়া আঘাত হানে লঙ্কানরা। শূন্য রানের ব্যবধানে টাইগাররা হারায় মুমিনুল হক ও লিটন দাসের উইকেট। শেষ সেশনে জয়াবিক্রম ও সুরঙ্গা লাকমলের বোলিং দাপটে শেষ দশ রানে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে শেষ চার উইকেট। ফলে শেষ ৭ উইকেটে আসে মাত্র ৩৭ রান।
ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ২৫১ রানে গুটিয়ে গেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে টাইগারদের ফলো-অনে না পাঠিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে লিডটা ২৫৯ রানে বাড়িয়ে নিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংস শেষ করে তৃতীয় দিনেই এত রানে পিছিয়ে থাকাটা মোটেই সুখকর কিছু নয় বাংলাদেশের নয়। বরং সেটা আসন্ন বিপদের ঘনঘটা।
কিন্তু তারপরও আশা ছাড়তে রাজি নন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ইতিবাচক থাকতে চান। চট্টগ্রাম টেস্টে মুমিনুলদের বিপক্ষে ৩৯৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেতার স্মৃতিটা স্বপ্ন দেখাচ্ছে তাকে। হয়তো কেউ বড় ইনিংস খেলবে। ম্যাচ বাঁচিয়ে দিবে। ঘটতে পারে অবিশ্বাস্য কিছু।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে কোচ ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা কয়েক মাস আগেই অবিশ্বাস্য একটি টেস্ট ম্যাচের অংশ ছিলাম। যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের বিপক্ষে ৩৯৫ রান তাড়া করে জিতেছিল। আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে। অনেক চাপে আছি। শ্রীলঙ্কা আধিপত্য বিস্তার করছে। কিন্তু আমরা আগামীকাল সকালে দ্রুত দুই-তিনটা উইকেট ফেরতে পারলে ওদের ড্রেসিংরুমে কিছুটা শঙ্কা জাগাতে পারব। কেউ হয়তো অবিশ্বাস্য কোনো ইনিংস খেলবে। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে।’
ব্যাটিংয়ের শুরুটার সঙ্গে শেষটার পার্থক্যটা ব্যাপক। বলতে গেলে আকাশ পাতাল তফাৎ। ৪ উইকেটে এসেছিল ২১৪ রান। ব্যাটিং ধসে পরের ৭ উইকেটে আসে মাত্র ৩৭ রান। ব্যাটিংয়ের শুরু ও শেষের এমন বৈপরীত্যের জন্য কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে চান না ডমিঙ্গো। তবে ফিল্ডিংয়ের ক্লান্তি তাতে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে- প্রধান কোচ ডমিঙ্গো তো তেমনই মনে করছেন।
প্রোটিয়া ক্রিকেট গুরু এ নিয়ে বলেন, ‘কোনো অজুহাত নেই। ছেলেরা তাদের সেরাটা দিয়েছে। অনেক পরিশ্রম করছে, চেষ্টা করছে। অজুহাত নয়, কিন্তু মাঠে অনেকটা সময় কাটানোর কারণে ব্যাটিংয়ে তাদের মনোযোগ ছিল কম। ছেলেরা প্রায় ৩৮০ ওভার মাঠে কাটিয়েছে। সেটা মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রভাব রেখেছে। এবং সেটা আজকের ব্যাটিং ধসের আংশিক কারণ হতে পারে।’