২৫১ রানে থামল টাইগাররা, লঙ্কানরা এগিয়ে ২৪২ রানে

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

তামিম ইকবাল

তামিম ইকবাল

বল হাতে স্পিন জাদু দেখালেন প্রবীণ জয়াবিক্রম। অভিষেক টেস্টে একাই শিকার করলেন ৬ উইকেট। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ ধসিয়ে দিতে তিনি একাই যথেষ্ট ছিলেন। তাইতো টাইগাররা প্রথম ইনিংসে থামল ২৫১ রানে। আর ২৪২ রানে এগিয়ে রইল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।

তার আগে দিনের শুরুতে ব্যাটিংটা ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু লঙ্কানদের হঠাৎ জোড়া আঘাতে এলোমেলো হয়ে যায় দ্বিতীয় টেস্টে টাইগারদের প্রথম ইনিংসের শুরুটা। সাইফ হাসানের পর বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রমেশ মেন্ডিসের বলে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত চার বল খেলে ফিরেন শূন্য রানে। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে এক রানের ব্যবধানে টানা দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

৯৮ রানে থামে তামিম-সাইফের উদ্বোধনী পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৫ রানের মাথায় প্রবীণ জয়াবিক্রমের বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাইফ। অভিষিক্ত জয়াবিক্রমের এটাই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। প্রথম টেস্টে পুরোই ব্যর্থ ছিলেন সাইফ। নানার দেশ শ্রীলঙ্কার মাটিতে এবার ভালো শুরুর আভাস দিয়েও সাইফ পারলেন না নিজের ব্যাট হাসাতে। জন্মভূমিকে উপহার দিতে পারলেন না বড় একটা ইনিংস।

দলীয় ২২৪ রানে জোড়া আঘাত হানে লঙ্কানরা। শূন্য রানের ব্যবধানে টাইগাররা হারায় মুমিনুল হক ও লিটন দাসের উইকেট। শেষ সেশনে জয়াবিক্রম ও সুরঙ্গা লাকমলের বোলিং দাপটে শেষ দশ রানে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে শেষ চার উইকেট। শেষ ৭ উইকেটে আসে মাত্র ৩৭ রান।

বিজ্ঞাপন

১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯২ রানের দাপুটে এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন মেগাস্টার তামিম। এ নিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে টানা চার ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেললেন তামিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে তামিম খেলেন ৯০ ও ৭৪* রানের দুর্বার দুই ইনিংস। লঙ্কা সফরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্পর্শ করেন হাফ-সেঞ্চুরি। আর এই সিরিজের তিন ইনিংসেই অর্ধ-শতকের দেখা পেলেন তামিম।

টানা দুই টেস্টে নার্ভাস নাইনটিতে আউট হলেন তামিম। এতেই ছুঁয়ে ফেলেছেন নাসির হোসেনের একটি কীর্তি। টাইগারদের হয়ে আগে টানা দুই টেস্টে নব্বইয়ে আউট হয়েছিলেন নাসির। ২০১২ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৯৬ ও ৯৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

তার আগে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে তৃতীয় দিন সকালে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। লাহিরু থিরিমান্নে ১৪০, দিমুথ করুনারত্নে ১১৮ ও ওশাদা ফার্নান্ডো ৮১ রান এনে দেন। ৭২ বলে ৮ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৭৭* রানের দুর্বার এক ইনিংস নিয়ে অপরাজিত থেকে যান নিরোশান ডিকভেলা। বঞ্চিত হন সেঞ্চুরি থেকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৪৯৩/৭ ডি., ১৫৯.২ ওভার (থিরিমান্নে ১৪০, করুনারত্নে ১১৮, ওশাদা ৮১, ডিকভেলা ৭৭* ব্যাটিং, রমেশ ৩৩ ও নিসানকা ৩০; তাসকিন ৪/১২৭, তাইজুল ৮৩/১, শরিফুল ১/৯১ ও মিরাজ ১/১১৮)।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৫১/১০, ৮৩ ওভার (তামিম ৯২, মমিনুল ৪৯, মুশফিক ৪০, সাইফ ২৫, মিরাজ ১৬; জয়াবিক্রম ৬/৯২, লাকমল ২/৩০ ও রমেশ ২/৮৬)।