মুমিনুল-লিটনের বিদায়ে ফের বিপদে টাইগাররা
চা বিরতির পর টাইগার ব্যাটিং লাইন-আপে জোড়া আঘাত হেনেছে শ্রীলঙ্কা। বিদায় করে দিয়েছে মুমিনুল হক ও লিটন দাসকে। তাদেরকে হারিয়ে ফের বিপদে পড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অভিষিক্ত প্রবীণ জয়াবিক্রম ঘূর্ণি জাদুতে একাই চার উইকেট নিয়ে অতিথিদের বেকায়দায় ফেলে দিয়েছেন।
এক রানের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মুমিনুল হক। ৪৯ রানে রমেশ মেন্ডিসের বলে বোল্ড হন টাইগার ক্যাপ্টেন। আর ব্যক্তিগত ৮ রানে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন দাস। প্রবীণ জয়াবিক্রমের বলে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ধরা পড়েন এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। তার আগে ৬২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪০ রান নিয়ে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিক।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ২২৮ রান। প্রথম ইনিংসে টাইগাররা এখনো ২৬৫ রানে পিছিয়ে। ৪ রান নিয়ে ক্রিজে আছে মেহেদী হাসান মিরাজ। তার সঙ্গী তাইজুল ইসলাম এখনো রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
তার আগে দিনের শুরুতে ব্যাটিংটা ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু লঙ্কানদের হঠাৎ জোড়া আঘাতে এলোমেলো হয়ে যায় দ্বিতীয় টেস্টে টাইগারদের প্রথম ইনিংসের শুরুটা। সাইফ হাসানের পর বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রমেশ মেন্ডিসের বলে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত চার বল খেলে ফিরেন শূন্য রানে। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে এক রানের ব্যবধানে টানা দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
৯৮ রানে থামে তামিম-সাইফের উদ্বোধনী পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৫ রানের মাথায় প্রবীণ জয়াবিক্রমের বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাইফ। অভিষিক্ত জয়াবিক্রমের এটাই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। প্রথম টেস্টে পুরোই ব্যর্থ ছিলেন সাইফ। নানার দেশ শ্রীলঙ্কার মাটিতে এবার ভালো শুরুর আভাস দিয়েও সাইফ পারলেন না নিজের ব্যাট হাসাতে। জন্মভূমিকে উপহার দিতে পারলেন না বড় একটা ইনিংস।
১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯২ রানের দাপুটে এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন মেগাস্টার তামিম। এ নিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে টানা চার ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেললেন তামিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে তামিম খেলেন ৯০ ও ৭৪* রানের দুর্বার দুই ইনিংস। লঙ্কা সফরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্পর্শ করেন হাফ-সেঞ্চুরি। আর এই সিরিজের তিন ইনিংসেই অর্ধ-শতকের দেখা পেলেন তামিম।
টানা দুই টেস্টে নার্ভাস নাইনটিতে আউট হলেন তামিম। এতেই ছুঁয়ে ফেলেছেন নাসির হোসেনের একটি কীর্তি। টাইগারদের হয়ে আগে টানা দুই টেস্টে নব্বইয়ে আউট হয়েছিলেন নাসির। ২০১২ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৯৬ ও ৯৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তার আগে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে তৃতীয় দিন সকালে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। লাহিরু থিরিমান্নে ১৪০, দিমুথ করুনারত্নে ১১৮ ও ওশাদা ফার্নান্ডো ৮১ রান এনে দেন। ৭২ বলে ৮ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৭৭* রানের দুর্বার এক ইনিংস নিয়ে অপরাজিত থেকে যান নিরোশান ডিকভেলা। বঞ্চিত হন সেঞ্চুরি থেকে।