মুশফিকের বিদায়, বাংলাদেশ ২১৪/৪
এক রানের ব্যবধানে সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় স্কোর তখন ৯৯। ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সেই বিপদ কাটিয়েও উঠেছিল সফরকারীরা। কিন্তু ৯২ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে তামিম বিদায় নিলে ফের অস্বস্তিতে পড়ে যায় টাইগাররা।
তবে মুশফিকুর রহিম-মুমিনুল হকের চতুর্থ উইকেট জুটিতে সেই অস্বস্তিটা ভালোই কাটিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৬৩ রানে থামে তাদের পার্টনারশিপ। ৬২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪০ রান নিয়ে ফেরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিক। ৯৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৭ রান নিয়ে ক্রিজে এখনো টিকে আছেন ক্যাপ্টেন মুমিনুল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬১.৪ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান তুলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ এখনো ২৭৯ রানে পিছিয়ে। জয়াবিক্রমের এলবিডব্লিউ’র শিকার হয়ে মুশফিক ফিরতেই চা বিরতি এসে যায়। যে কারণে আর কেউ ব্যাট হাতে মাঠে নামেনি এখনো।
তার আগে দিনের শুরুতে ব্যাটিংটা ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু লঙ্কানদের হঠাৎ জোড়া আঘাতে এলোমেলো হয়ে যায় দ্বিতীয় টেস্টে টাইগারদের প্রথম ইনিংসের শুরুটা। সাইফ হাসানের পর বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রমেশ মেন্ডিসের বলে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত চার বল খেলে ফিরেন শূন্য রানে। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে এক রানের ব্যবধানে টানা দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
৯৮ রানে থামে তামিম-সাইফের উদ্বোধনী পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৫ রানের মাথায় প্রবীণ জয়াবিক্রমের বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাইফ। অভিষিক্ত জয়াবিক্রমের এটাই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। প্রথম টেস্টে পুরোই ব্যর্থ ছিলেন সাইফ। নানার দেশ শ্রীলঙ্কার মাটিতে এবার ভালো শুরুর আভাস দিয়েও সাইফ পারলেন না নিজের ব্যাট হাসাতে। জন্মভূমিকে উপহার দিতে পারলেন না বড় একটা ইনিংস।
১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯২ রানের দাপুটে এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন মেগাস্টার তামিম। এ নিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে টানা চার ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেললেন তামিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে তামিম খেলেন ৯০ ও ৭৪* রানের দুর্বার দুই ইনিংস। লঙ্কা সফরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্পর্শ করেন হাফ-সেঞ্চুরি। আর এই সিরিজের তিন ইনিংসেই অর্ধ-শতকের দেখা পেলেন তামিম।
তার আগে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে তৃতীয় দিন সকালে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। লাহিরু থিরিমান্নে ১৪০, দিমুথ করুনারত্নে ১১৮ ও ওশাদা ফার্নান্ডো ৮১ রান এনে দেন। ৭২ বলে ৮ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৭৭* রানের দুর্বার এক ইনিংস নিয়ে অপরাজিত থেকে যান নিরোশান ডিকভেলা। বঞ্চিত হন সেঞ্চুরি থেকে।