ফের সেঞ্চুরি মিস তামিমের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি মিস করেন তামিম। প্রথমবার দশ রানের জন্য ধরা দেয়নি জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা। দ্বিতীয়বার ইনিংস ঘোষণা হওয়ায় শতক হাঁকানোর সুযোগই পাননি। এবারও পারলেন না স্নায়ু চাপ ধরে রাখতে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে আবার শতক মিস করলেন দেশসেরা এ ওপেনার। ফলে ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা বাড়ল তামিমের।
এক রানের ব্যবধানে সাইফ হাসান ও নাজমুল হাসান শান্তর জোড়া উইকেট হারিয়ে সকালের সেশনের শেষ দিকে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় স্কোর তখন ৯৯। তামিমের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে সেই বিপদ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল টাইগাররা। কিন্তু নার্ভাস নাইনটিতে তার বিদায়ে ফের বিপদে পড়ে গেল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
১৫০ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ৯২ রানের দাপুটে এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেন মেগাস্টার তামিম। ৪৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩০ রান নিয়ে এখন উইকেটে রয়েছেন ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক। ৪ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪৫ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। টাইগাররা এখনো ৩৩৬ রানে পিছিয়ে।
তার আগে দিনের শুরুতে ব্যাটিংটা ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু লঙ্কানদের হঠাৎ জোড়া আঘাতে এলোমেলো হয়ে যায় দ্বিতীয় টেস্টে টাইগারদের প্রথম ইনিংসের শুরুটা। সাইফ হাসানের পর বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রমেশ মেন্ডিসের বলে লাহিরু থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত চার বল খেলে ফিরেন শূন্য রানে। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে এক রানের ব্যবধানে টানা দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
৯৮ রানে থামে তামিম-সাইফের উদ্বোধনী পার্টনারশিপ। ব্যক্তিগত ২৫ রানের মাথায় প্রবীণ জয়াবিক্রমের বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাইফ। অভিষিক্ত জয়াবিক্রমের এটাই টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। প্রথম টেস্টে পুরোই ব্যর্থ ছিলেন সাইফ। নানার দেশ শ্রীলঙ্কার মাটিতে এবার ভালো শুরুর আভাস দিয়েও সাইফ পারলেন না নিজের ব্যাট হাসাতে। জন্মভূমিকে উপহার দিতে পারলেন না বড় একটা ইনিংস।
এ নিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে টানা চার ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেললেন তামিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে তামিম খেলেন ৯০ ও ৭৪* রানের দুর্বার দুই ইনিংস। লঙ্কা সফরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্পর্শ করেন হাফ-সেঞ্চুরি। আর এই সিরিজের তিন ইনিংসেই অর্ধ-শতকের দেখা পেলেন তামিম।
তার আগে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে তৃতীয় দিন সকালে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। লাহিরু থিরিমান্নে ১৪০, দিমুথ করুনারত্নে ১১৮ ও ওশাদা ফার্নান্ডো ৮১ রান এনে দেন। ৭২ বলে ৮ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৭৭* রানের দুর্বার এক ইনিংস নিয়ে অপরাজিত থেকে যান নিরোশান ডিকভেলা। বঞ্চিত হন সেঞ্চুরি থেকে।