৩০৪ রানে পিছিয়ে টাইগাররা
বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে ১০৫ রান তুলতেই লাল-সবুজ শিবির হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। টাইগাররা এখনো ৩০৪ রানে পিছিয়ে।
ইনিংসের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। এক রানেই বিদায় নেন ওপেনার সৌম্য সরকার। আর দলীয় ১১ রানে সৌম্যের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬৯ রানের স্কোর ছুঁতেই ফের দুই রানের ব্যবধানে নাই হয়ে যায় ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক ও তামিম ইকবালের উইকেট।
তামিম সাজঘরে ফেরেন ৪৪ রান নিয়ে। আর ২১ রান করেন মুমিনুল। ২৭ রান নিয়ে উইকেটে টিকে আছেন মুশফিকুর রহিম। ৬ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
দুটি উইকেট শিকার করেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল একটি করে উইকেট নেন রাহকিম কর্নওয়াল ও আলজারি জোসেফ।
তার আগে এনক্রুমাহ বোনার, জোশুয়া দা সিলভা ও আলজারি জোসেফের ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪০৯ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে অতিথি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নার্ভাস নাইনটিতে পৌঁছে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বোনার। ২০৯ বলে ৭ চারে খেলেন ৯০ রানের দাপুটে এক ক্রিকেটীয় ইনিংস।
সিলভাও মিস করেছেন সেঞ্চুরি। ১৮৭ বলে ১০ চারে ৯২ রান নিয়ে বোল্ড হন তাইজুলের বলে। আর ১০৮ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় ৮২ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলেন তার সঙ্গী আলজারি জোসেফ। দুজনে মিলেন গড়েন ১১৮ রানের পার্টনারশিপ।
আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলাম শিকার করেছেন চারটি করে উইকেট। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে বোনারের মূল্যবান উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
তার আগে ৫ উইকেটে ২২৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে উইন্ডিজ। আগের দিন ৭৪ রানে হার না মানা বোনার সকালের সেশনে ১৬ রান তুলেই বিদায় নেন মাঠ থেকে। ২২ রানে তাকে সঙ্গ দেওয়া সিলভা নিজের ইনিংসে যোগ করে ৭০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ৪০৯/১০, ১৪২.২ ওভার (ব্রাফেট ৪৭, ক্যাম্পবেল ৩৬, বোনার ৯০ ও সিলভা ৯২, জোসেফ ৮২; রাহী ৪/৯৮, তাইজুল ৪/১০৮, সৌম্য ১/৪৮ ও মিরাজ ১/৭৫)।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১০৫/৪, ৩৬ ওভার (তামিম ৪৪, মুমিনুল ২১, মুশফিক ২৭*; গ্যাব্রিয়েল ২/৩১, কর্নওয়াল ১/১৮ ও জোসেফ ১/৩৪)।
*দ্বিতীয় দিন শেষে