শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী 'ক' শ্রেণীভুক্তকরণের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে সচিবালয় প্রান্তে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে সচিবালয় প্রান্তে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন

প্রতিবারের মতো ৫ আগষ্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী জাতীয়ভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক দিবসটি ‘ক’ শ্রেণীভূক্ত করণের প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সোমবারের মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রান্তে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এম পি বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য পুত্র শহীদ শেখ কামালের জন্মদিনকে জাতীয় ভাবে উদযাপন করতে "ক" শ্রেণীভুক্ত করনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন,আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ বছরই প্রথমবারের মত সরকারিভাবে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর জন্মদিন উদযাপন করতে পেরেছি।

বিজ্ঞাপন

শহীদ শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, ১৯৭১ এর রনাঙ্গনের লড়াকু সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চির তারুণ্যের প্রতীক। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন শেখ কামাল। শেখ কামাল অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিঁনি দেশ সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাহীন স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন ও ঊনসত্তরের গণ অভ্যূত্থানে শেখ কামাল সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করে, দেশ মাতৃকার মুক্তির যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিবাহিনীর  প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর শেখ কামাল প্রতিষ্ঠা করেন 'ঢাকা থিয়েটার' এবং আধুনিক সংগীত সংগঠন 'স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী'। ক্রীড়া জগতের উন্নয়নের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন-আবাহনী ক্রীড়া চক্র।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'শহীদ শেখ কামাল তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস।  তাঁর  দেখানো পথ অনুসরণ করেই ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা।  আর তাই এ দেশের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে তরুণ প্রজন্মের কাছে তার অবদানকে পৌঁছে দিতে "ক" শ্রেণীর দিবস হিসেবে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিনকে সারাদেশে উদযাপনের জন্য সদয় অনুমোদনের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।'