৩ নভোচারী নিয়ে মহাশূন্যে পাড়ি দিয়েছে চীনের শেনঝৌ-১৯

  • বিজ্ঞান ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

৩ জন নভোচারী নিয়ে চীনের মহাশূন্য স্টেশন অভিমুখে মহাশূন্যে পাড়ি দিয়েছে স্পেসশিপ শেনঝৌ-১৯। সেখানে ৬ মাস অবস্থান করে তারা অনেকগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করবেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ভোররাত ৪টা ২৭ মিনিটে উত্তর-পশ্চিম চীনের লুইকান স্যাটেলাইট লাঞ্চ সেন্টার থেকে স্পেসশিপ শেনঝৌ-১৯ মহাশূন্য স্টেশন অভিমুখে রওয়ানা করে।

বিজ্ঞাপন

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স বুধবার (৩০ অক্টোবর) এ খবর জানায়।

খবরে বলা হয়, মহাশূন্যে স্টেশনে অবস্থান করে নভোচারীরা ৮৬টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করবেন। এর মধ্যে চাঁদের মাটি দিয়ে ইট তৈরির বিষয়টিও রয়েছে।

এই গবেষণায় সফলতা পাওয়া গেলে চাঁদে বসতি তৈরির জন্য পৃথিবী থেকে নির্মাণ সামগ্রী আর বহন করতে হবে না। কারণ, পৃথিবী থেকে নির্মাণ সামগ্রী বহন করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

স্পেসশিপ শেনঝৌ-১৯-এ যাওয়া ৩ নভোচারীর মধ্যে ২ জনের জন্ম ১৯৯০ সালে। আর অন্য অন্যজন চীনের প্রথম নারী নভোচারী, যিনি মহাশূন্যে অবস্থান করে গবেষণা কার্যক্রম চালাবেন। এই নভোচারী ৩ জন আগে চীনের এয়ারফোর্সে কর্মরত ছিলেন।

এ বিষয়ে চীনের ম্যানড স্পেস এজেন্সি (সিএমএসএ)-এর উপপরিচালক লিন জিংকিয়াং মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৬ মাস মহাশূন্য স্টেশনে অবস্থান করে এই নভোচারীরা ৮৬টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এর মধ্যে মহাশূন্যে জীবন বিজ্ঞান, মাইক্রোগ্রাভিটি ফিজিকস, ওষুধ, নতুন প্রযুক্তিগত বিষয়ও রয়েছে।

এই ৩ নভোচারী চীনের নিজস্ব মহাশূন্য স্টেশন ‘তিয়ানগং মহাশূন্য স্টেশন’-এ ২০২৫ সালের এপ্রিল বা মে পর্যন্ত অবস্থান করবেন। তারা স্টেশনে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত অন্য নভোচারীরা পৃথিবী পৃষ্ঠে ফিরে আসবেন।

‘তিয়ানগং মহাশূন্য স্টেশন’ ২০২২ সাল থেকে মহাশূন্যে অবস্থান করছে।

লিন জিংকিয়াং বলেন, নভেম্বর মাসে মনুষ্যবিহীন আরেকটি কার্গোশিপে করে শেনঝৌ-১৯-তে ইট পাঠানো হবে।