গণতন্ত্র কারা ধ্বংস করেছে জনগণ ভুলে যায়নি: ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র কাদের হাতে হত্যা হয়েছে? তাদের হাতেই, যারা দাবি করেন স্বাধীনতা যুদ্ধের একমাত্র ধারক-বাহক তারা। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত দেশ শাসন করে তারা গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রবর্তন করেন। এ দেশের মানুষ এত সহজেই এটা ভুলে যায়নি।

রোববার ( ১৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা যারা কোন নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে আসেনি তারা অনেক বড় বড় কথা বলেন, আমাদের উপদেশ দেন। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করতে চাই— আপনারা ১৯৭১ সালে কতজন বাংলাদেশের রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছিলেন? হিসাব চাই আমরা।

ভারতের এনআরসি সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি এনআরসি’র বিষয়টিতে আমাদের সরকারের মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাদের ভারতের সাথে কথা বলা উচিত। কারণ, এখানে আমাদের স্বার্থ আছে। এনআরসি করে তারা বলছে কাউকে থাকতে দেওয়া হবে না। ভারতের মন্ত্রীরা বারবার ঘোষণা দিচ্ছেন বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে জোর করে, একটাকেও রাখা হবে না। আমাদের নাগরিক না অথচ বাংলাদেশি বলে তারা ফেরত পাঠিয়ে দেবেন এবং সেটা আমাদের ওপর লক্ষ লক্ষ মানুষের আরেকটি চাপ আসবে। এটা তো আমাদের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, স্থিতিশীলতা সকল কিছুর উপর চাপ সৃষ্টি করবে। সেসব বিষয়ে এ সরকারের কোন কথা নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ দেশে আর কখনো সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে কিনা আমি জানি না। আমরা জানি এখন ৯ শতাংশ, ৮ শতাংশ এমনকি ৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে যায় না। কারণ ভোট ব্যবস্থার ওপর তাদের আস্থা চলে গেছে। তারা জানে যে, ভোট দিতে গিয়ে লাভ কী হবে? গিয়ে তো দেখব আমার ভোট নাই, ভোট দেওয়া হয়ে গেছে, নয়তোবা আমার ভোট জোর করে দিতে বলা হচ্ছে। এটা এখন সর্বত্র এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ব্যবস্থায়ও এটা চালু হয়ে গেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।