অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ

  • স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বর্তমান সময়ের ১৪টি অগ্রাধিকারমূলক কাজের তালিকা দিয়েছে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। 

সোমবার (৬ জানুয়ারি) উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে এই কাজের তালিকা প্রকাশ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তালিকায় জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের সহায়তাসহ ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার অবসান ও বিচার ব্যবস্থা সংক্রান্ত দুই প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে মোট ১৪টি অগ্রাধিকারমূলক কাজের কথা উল্লেখ করেছেন। 

প্রাথমিক অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন

বিজ্ঞাপন

১. জুলাই শহিদ-আহতদের তালিকা প্রণয়ণ, চিকিৎসা প্রদান। আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের অর্থসহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন।

২. জুলাই গণহত্যার বিচার ও সে লক্ষ্যে যথাযথ মামলা ও সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা।

৩. গত ১৬ বছরের গুম খুন ও অর্থনৈতিক লুটপাটের বিচার। লুট হওয়া অর্থ ফেরত আনা।

৪. জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা।

৫. জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের বিবিধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বাস্তবসম্মত সংস্কার নিশ্চিত করা।

৬. শিক্ষা,জনস্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি ও আবাসন সহ সকল জনগুরুত্বপূর্ণ খাত ঢেলে সাজানো

৭. তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরি ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা বৃদ্ধি করা।

৮. কথিত 'উন্নয়ন অর্থনীতি'র বদলে জনগণ, প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের অনুকূল অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা।

৯. সরকারের সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করা।

এছাড়া, রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন,

১০. অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ ও নূতন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করা।

১১. জাতীয় স্বার্থকে সকল ক্ষেত্রে সমুন্নত রাখা এবং বিগ কর্পোরেশন ও বিদেশী স্বার্থের বাইরে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রাণ প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রশ্নকে গুরুত্ব দেয়া।

১২. জাতীয় অগ্রাধিকার তথা জাতীয় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য ধরে রাখা এবং জনগণের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ও খুনিদের ফেরত আসার পথ রুদ্ধ করা।

১৩. সংস্কারের পক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া তথা নির্বাচন ব্যবস্থা, সংস্কার সাপেক্ষে জনগণের রায়ের কাছে ছেড়ে দেয়া।

১৪. সারা দেশের মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিকভাবে (দায়িত্ব ও অধিকার বিষয়ে) শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলা।