বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে খালেদা জিয়ার বাসভবনে মির্জা ফখরুল
উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়ারপারসকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় গেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ফিরোজায় প্রবেশ করেন তিনি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা ত্যাগ করবেন খালেদা জিয়া। রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ ‘রয়েল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের পথে যাত্রা করবেন তিনি।
জানা গেছে, রাত ৮টার দিকে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ফিরোজা থেকে রওনা হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে বিকেল থেকেই গুলশানের বাসভবনের সামনে নেতাকর্মীরা ও সমর্থকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ জড়ো হয়েছেন।
ফিরোজায় প্রবেশের সময় মির্জা ফখরুল উপস্থিত নেতাকর্মীসহ সবার উদ্দেশে বলেন, আপনারা সুশৃঙ্খল অবস্থায় ফুটপাতে দাঁড়ান, রাস্তা ফাঁকা রাখুন।
চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে ফিরোজা থেকে বেরিয়ে যান মির্জা ফখরুল।
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সভাপতি আমিনুল হক, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে ফিরোজা ও এর আশ পাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। বিকেল থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপস্থিতিও বাড়ছে।
বিমানবন্দরে তার আগমন ও বিদেশযাত্রা ঘিরে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিমানবন্দরের বাইরে নিরাপত্তায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি থাকবেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ডিবি ও সোয়াটের মতো স্পেশাল টিমের সদস্যরা। এছাড়া অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও থাকবেন নিজ নিজ দায়িত্বে।