রাজনৈতিক দল নয় স্বৈরাচারের দোসরদের পিছনে লাগুন: জাহিদ হোসেন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজনৈতিক দলের পিছনে লাগার দরকার নাই বন্ধুরা, আপনারা আপনাদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের পিছনে লাগুন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন। 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জেটেব আয়োজিত বিএনপি ঘোষিত 'রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা: প্রেক্ষিত টেক্সটাইল সেক্টর' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের পিছনে লাগার দরকার নাই বন্ধুরা, আপনারা আপনাদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের পিছনে লাগুন। তাদেরকে প্রশাসন এবং আপনাদের আশপাশ থেকে সরিয়ে দিন। মানুষের আকঙ্খা বুঝার চেষ্টা করুন। মানুষের অধিকার দ্রুততার সঙ্গে ফেরত দেয়ার চেষ্টা করুন, তাহলেই মানুষ আপনাদের সাধুবাদ জানাবে। ইতিহাস আপনাদের ধারণ করবে। মনে রাখবেন পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচারের ফিরে আসার নজির নেই। বাংলাদেশেও সে ব্যবস্থা ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নাই। 

বিএনপি ক্ষমতায় যাবার জন্য রাজনীতি করে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলন, আমরা বলি না, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য বিএনপি রাজনীতি করে। বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য রাজনীতি করে। কাজেই আজকে যারা বলার চেষ্টা করেন, আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিলো, এইটা, ঐটা। আমরা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিলো জনগণের অধিকার আদায় করা। সেটিই হচ্ছে বিএনপির দাবি। সেজন্যই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ভাইয়েরা আন্দোলন করেছেন। এতে যারা শহীদ হয়েছেন আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে তাদের স্মরণ করি। সেই আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদ, মুগ্ধ সহ দুই হাজারের মতো ভাই-বোনেরা শহীদ হয়েছেন, বিএনপিরও ৪২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

কারো দান, অবদানকে অস্বীকার করতে পারবেন না উল্লেখ করে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ৩০ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, হাজার হাজার নেতাকর্মী চোখ হারিয়েছে, হাত হারিয়েছে, পা হারিয়েছে। যিনি শহীদ হয়েছেন, তার কোন রঙ নেই তিনি শহীদ। যিনি পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন তারও কোন রঙ খোঁজার দরকার নেই, তিনি পঙ্গু হয়েছেন দেশের জন্য। আজকে ঐক্যের প্রয়োজন। ঐক্যবদ্ধ হলেই দেশ এগিয়ে যাবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দেশবাসী, পৃথিবীর মানুষের আস্থা আছে উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, দেশের মানুষ একদম নিঃশর্তভাবেই এইসরকারকে সহযোগিতা করছে। কাজেই তাদের সিদ্ধান্ত হতে হবে আরও বলিষ্ঠ, আরও দ্রুততার সঙ্গে। তা না হলে ঐ সমস্ত স্বৈরাচারের দোসররা যারা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় গাপ্টি মেরে আছে তারা কিন্তু যেকোনো সময় ফণা তুলে আপনাকে-আমাকে ছোবল মারতে পারে। তাদের বিষ দাত যদি ভেঙে দিতে হয় তাহলে তাদেরকে আইডেন্টিফাই করুন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আজকে অনেক ন্যারেটিভস, অনেক কথা শুনি। সব কথা শুনবো, চিন্তা করবো তারপরে কমেন্টস করবো তাহলে ভুল কম হবে। আর যদি আপনি নাই শুনেন, চিন্তা না করেন তাহলে ভুল হয়ে যাবে। কাজেই আমরা যখন শুনি, ৫৩ বছরে সংস্কার হয়নি, তখন আমাদের মনে কষ্ট লাগে কারণ যিনি বলেন তার বয়স ৫৩ হয়নি। বাংলাদেশের সংস্কারের যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া তিনি জানেন না, অথবা স্বীকার করতে চাননি অথবা বুঝতে পারেননি।

জেটেব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. রুহুল আমীন আকন্দ। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ সহ জেটেবের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।