জবি ছাত্রদলের কমিটি ৪৫ দিন নয়, একদিনও মানি না: শুকুর আইমান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নবগঠিত ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিকে পকেট কমিটি উল্লেখ করে জবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস শুকুর আইমান বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে এক্টিভি দুইটা ব্যাচের ৯ম এবং ১১ ব্যাচের কাউকে কমিটিতে রাখা হয়নি। ছাত্রলীগ থেকে ৫ তারিখের পরে ছাত্রদলে যোগ দেওয়া ছেলেদের কমিটিতে রাখা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও এই কমিটিতে স্থান পেয়েছে সুতরাং এই কমিটি আমরা ৪৫ দিন নয় একদিনও মানি না।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান হিমেলকে আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী শামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করার পর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শাখা ছাত্রদলের কয়েকটি গ্রুপ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষিত আহবায়ক কমিটিকে "অছাত্র, অনিয়মিত ও ছাত্রলীগ নিয়ে পকেট কমিটি" আখ্যা দিয়ে ক্যম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিতরা।
বিক্ষোভকারীরা অবৈধ কমিটি মানি না মানবো না, বৈষম্যের কমিটি মানি না মানবো না, অযোগ্যদের কমিটি মানি না মানবো না সহ নানান ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যেসব নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামে নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছে সেসব নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে অনিয়মিত ও শাখা ছাত্রদলের ব্যানারে আন্দোলন না করা কর্মীদের কমিটি দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে যারা সর্বাধিক কারাভোগ করেছে তাদেরকেও রাজনীতি থেকে মাইনাস করার একটি পায়তারা হিসেবে এ কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের কর্মী আতিকুর রহমান তানজিল বলেন বলেন, দীর্ঘদিন পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। এই কমিটিতে বিগত দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রামে জীবন বাজি রেখে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে থেকেছে তাদের বাদ দিয়ে নিজস্ব মাই ম্যান সেটাপ করতে সিন্ডিকেট করে পকেট কমিটি গঠন করেছে।
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি মেহেদী হাসান হিমেলকে আহবায়ক ও শামসুল আরেফিনকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অনন্যরা হলেন, যুগ্ম আহবায়ক জাফর আহমেদ, সুমন সরদার, মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, মো. শাহরিয়ার হোসেন, মাহমুদুল হাসান খান মাহমুদ, কাজী রফিকুল ইসলাম, নাহিদ চৌধুরী, নাহিয়ান বিন অনিক, রবিউল আউয়াল, শাখাওয়াত ইসলাম খান পরাগ, রাসেদ বিন হাসিম,জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, মাইন উদ্দীন চৌধুরী মাইন, মেহেদী হাসান রুদ্র, মোহাম্মদ মোজাম্মেল মামুন ডেনি, হাসিবুল ইসলাম হাসিব, রবিন মিয়া শাওন, শামীম মিয়া।
সদস্য- মোহাম্মদ রিয়াসাল রাকিব, মোবাইদুর রহমান, এম তানভীর রহমান, আবু হেনা মোরসালিন, ইমরান হোসেন ইমন,মাহিদ হোসেন, মাশফিকুল রাইন। বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন, ১১ ব্যাচের, আব্দুস শুকুর আইমান, রায়হান অপু, সোলাইমান সাগর, তৌহিদ চৌধুরী, আরাফাত বঞ্চিত, ১২ ব্যাচের মেহেদী হাসান আকন, মিরাজ হোসেন, মাহাবুব, ফারুক হোসেন, জাহিদ হোসেন, সাইদুল ইসলাম, ৯ম ব্যাচের রাহাত, আসিফ আল ইমরান, আরিফ হোসেন, ইয়াসিন আরাফাতসহ আরো অনেকে।