নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান ফখরুলের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

পদত্যাগ করে ক্ষমতাসীনদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে। এটাই হবে বাংলাদেশের ৭১ সালের চেতনাকে বাস্তবায়ন করা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনা তখনই সম্ভব হবে যখন একটা গণতান্ত্রিক সরকার হবে। মানুষের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে তখনই যখন একটা গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। আর সেই সরকার আসবে জনগণের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি একটাই মাত্র কারণ সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি। সেই সাথে আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের অদক্ষতা।

ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ দেশে যা কিছু হয়েছে কল্যাণকর সবকিছু ছাত্রদের হাত ধরে এসেছে। আবার জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলি।

তিনি বলেন, দেশকে আওয়ামী লীগ সরকার এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যেখানে মানুষ বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না। মানুষ এখন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে খাবারটা দরকার সে খাবারটা সে পাচ্ছে না, তার বেঁচে থাকার জন্য যে নিরাপত্তা দরকার সেই নিরাপত্তাটুকু সে পাচ্ছে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে আটক করে রাখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, কথা বললেই এই ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করেছি তখন তাদের টনক নড়ে গেছে।

তিনি বলেন, এই সরকার যারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে টিকে আছে। তাদের কে হঠাতে হবে। গভীর চক্রান্ত রয়েছে, সে চক্রান্ত হচ্ছে এদেশের মানুষকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত রেখে তারা একটা রাজতন্ত্র চালাবে।

ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।