মির্জা আজমের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকদের হেয় প্রতিপন্ন করে দেওয়া জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজমের বক্তব্য প্রত্যাহার ও সকল পেশাজীবীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপু'র স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি জামালপুর জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতি’র সাথে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম এমপি’র একটি বক্তব্যের ভিডিও গত দুই-একদিন যাবত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীদের 'চোর' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন-যা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর বলে প্রতীয়মান হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে চিকিৎসকদের অবদান সর্বজনবিদিত। সকল মহামারি-অতিমারিতেও তাদের অগ্রণী ভূমিকা প্রশংসিত। করোনাকালীন সময়েও প্রায় দুই শতাধিক চিকিৎসক সেবা দিতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও অধিক চিকিৎসকসহ প্রায় দশ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের প্রায় সকলের পরিবারের সদস্য তাদের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন। নিজেদের ও পরিবারের জীবন বাজি রেখে জনগণের চিকিৎসায় নিয়োজিত হওয়া চিকিৎসকদেরকে ‘চোর’ বলে আখ্যায়িত করে তিনি নিজের অসুস্থ ও বিকারগ্রস্ত মানসিকতারই পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া বর্তমান সরকারের কোন নীল-নকশা থেকে জনগণের দৃষ্টি এড়ানোর জন্যও বিষয়টির অবতারণা হতে পারে।

বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া সংবাদ মারফত জানা যায় যে, আলাদীনের চেরাগের ন্যায় সংসদ সদস্য হয়ে তেত্রিশ গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পাওয়া মির্জা আজম বেশ কয়েকবারের এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার এ ধরনের বক্তব্য সকল পেশাজীবীদেরকে ব্যথিত করেছে। স্বাস্থ্য খাতের যে দুর্নীতি হয় তার সাথে বর্তমান মিডনাইট সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট নেতৃবৃন্দ, এমপি, মন্ত্রী, আমলা ও ঠিকাদারগণ জড়িত; চিকিৎসকগণ নয়। কারণ বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোন চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না।

সংসদ সদস্যের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের ও সকল পেশাজীবীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জোর দাবি জানান তিনি।