অফিস দখল করা নিয়ে বগুড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপ মুখোমুখি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অফিস দখল করা নিয়ে বগুড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপ মুখোমুখি

অফিস দখল করা নিয়ে বগুড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপ মুখোমুখি

বগুড়ায় জেলা বিএনপি অফিস দখল করা নিয়ে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে কোন গ্রুপকেই অফিসে ঢুকতে দেয়া হয় নি।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বহিষ্কৃত গ্রুপের সাথে বর্তমান কমিটির নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় বিএনপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বগুড়া জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ারকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।

এই খবরে মঙ্গলবার রাত থেকে সিপার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই সিপার গ্রুপ বিএনপি অফিস দখল করার ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণায় সমর্থন জানায় এর আগে দল থেকে বহিষ্কর হওয়া নেতা ও তাদের কর্মী সমর্থকরা।

এদিকে অফিস দখল করার খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে জেলা বিএনপি  কার্যালয়ে কর্মী সভা আহবান করেন। ফলে উভয় গ্রুপের মধ্যে বুধবার দুপুরের পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেলা তিনটার পর থেকে জেলা বিএনপি অফিসের সামনে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। বিকেল ৪টার দিকে সিপার আল বখতিয়ারের পক্ষে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী শহরের মালতিনগর থেকে লাঠি মিছিল নিয়ে শহরের নবাবাড়ি সড়কে জেলা বিএনপি অফিসের দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে ডিসির বাংলোর সামনে থেকে পুলিশ তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। বাঁধা পেয়ে তারা মালতিনগর বকশীবাজার মোড়ে ফিরে গিয়ে সেখানে বিক্ষোভ করে।

এ সময় নেতা কর্মীরা বলেন, কোন কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই সিপার আল বখতিয়ারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তারা বলেন, বিগত সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সিপার পরীক্ষিত নেতা। জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ষড়যন্ত্র করে দলের দুঃসময়ে সিপারকে বহিষ্কার করার পিছনে কাজ করেছেন।

সিপার আল বখতিয়ার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের কর্মসূচী সিরাজ এমপির বিরুদ্ধে। সংস্কার পন্থী নেতা সিরাজ দলকে ধ্বংসের যন্ত্রে লিপ্ত। বহিষ্কৃত সব নেতাদের দলে না ফিরানো পর্যন্ত জেলা বিএনপি অফিসে কোন কর্মসূচী করতে দেয়া হবে না।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। এ কারণে কোন পক্ষকেই অফিসে ঢুকতে দেয়া হয় নি। সহিংসতার আশংকায় অফিসে কর্মসূচী করতে নিষেধ করা হয়েছে।