বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের অগ্রভাগ স্থলভাগে ঢুকে পড়ায় খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া। দমকা বাতাসের সাথে যোগ হয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত।
বুধবার (২০ মে) বিকেলে খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বার্তা২৪.কম কে বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড় শুরু হয়েছে। তবে আম্পান খুলনা উপকূলে মূল আঘাত হানবে সন্ধ্যার পরে। আম্পানের প্রভাবে খুলনা উপকূলে ৫০ কি:মি: বেগে ঝড়ো বাতাস বইছে। ধীরে ধীরে দমকা বাতাসের সাথে ঝড় আরো বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সন্ধ্যার পরেই যেকোনো সময়ে ঘূর্ণিঝড় আম্পান খুলনার উপকূলীয় এলাকা মংলা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২২০ থেকে ২৪৫ কি:মি পর্যন্ত উঠতে পারে। তখন বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। রাতেই ঝড়টি দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল অতিক্রম করবে। এ সময় নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০-১৫ ফুট বেড়ে জলোচ্ছাস হতে পারে।
উপকূলীয় অঞ্চল থেকে জানা যায়, সকাল থেকে থেমে থেমে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি থাকলেও সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে। ঝড়ো বাতাসে জনমনে আতঙ্ক বেড়েছে। এ ছাড়া বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনার উপকূল দাকোপ-বটিয়াঘাটা-পাইকগাছা ও কয়রার নদী পাড়ের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
কয়রার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা জানান, দুর্যোগের কারণে ইতোমধ্য নদী তীরবর্তী এলাকার স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এখনো যারা যায়নি তাদের নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। কয়রায় ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, খুলনার উপকূলীয় নদীতে স্বাভাবিকের থেকে ৪ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতে জোয়ারের পানি আরো বাড়লে ডেঞ্জার লেভেল ক্রস করতে পারে। বাধভাঙার উপক্রম হলে আমরা প্রস্তুত আছি। বেড়িবাধ দেয়া সিএ ব্যাগ প্রস্তুত আছে। খুলনায় শুধু কয়রাই বেশী ঝুকিপূর্ণ।