পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হেনেছে আম্পান

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হেনেছে আম্পান

পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হেনেছে আম্পান

পশ্চিমবঙ্গের মোদিনীপুর জেলার হলদিয়ায় উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানবে। ঘূর্ণিঝড়টি সাগর উপকূলের পূর্ব দিকে সুন্দরবন ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করছে। অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে।

ভারতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর, তাজপুর, বকখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মন্দারমণি এবং দিঘা-সহ বেশ কিছু এলাকায় ঝড় বইতে শুরু করে। প্রবল ঝড়ে বকখালিতে বেশ কিছু গাছ উপড়ে গিয়েছে। রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়ে দিঘাতেও। বেশ কিছু কাঁচাবাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে কাকদ্বীপে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সাতক্ষীরায় প্রতি ঘণ্টা ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো বাতাস বইছে। খুলনা ৫৫ থেকে ৬০ কিলিমিটার বেগে বাতাস বইছে। 

আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৯ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।