‘খায়রুল হকের মতো দেশের ক্ষতি আর কেউ করেনি’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিচারপতি খায়রুল হক দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাত্তোর ইতিহাসে বিচারপতি খায়রুল হকের মতো জ্ঞানপাপী আর দ্বিতীয় কেউ নেই। তার মতো দেশের এত ক্ষতি আর কেউ করেনি। তাকে গ্রেফতার করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তাকে আগেই গ্রেফতার করা উচিত ছিল। তার শাস্তি এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে তার সাথে বিএনপি একাত্মতা প্রকাশ করে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। তবে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর এফডিসিতে জুলাই হত্যাকাণ্ডে শহীদদের আত্মার শান্তিতে দোষীদের শাস্তি প্রদান নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য অপরাধীদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে ফ্যাসিস্ট রেজিমের মুখপাত্র। এদেশের মানুষ গণহত্যার বিচারের লক্ষ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চায়। আশা করি ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

শেখ হাসিনাসহ বিগত স্বৈরশাসকের বিচার করা না গেলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে বলে মন্তেব্য করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পূর্বে গত মাসে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেছিলেন, তার মা কোন অন্যায় করেনি। বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত শেখ হাসিনা। তার এই বক্তব্য অনুযায়ী ধরে নেওয়া যেতে পারে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গণহত্যায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আইনের মুখোমুখি হয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করবেন। আর তিনি যদি দেশে ফিরে না এসে বিচারের মুখোমুখি না হন তাহলে আমরা আশা করবো আদালত তথা সরকারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাসহ পালিয়ে থাকা অন্যান্য আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তা না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।