ঘূর্ণিঝড় আম্পান

খুলনায় ২ লাখ মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন। করোনা ঝুঁকির এ সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব‌্য ক্ষ‌তি এড়াতে প্রায় দুই লাখ ৩৮ হাজার ৯৫০ জন মানুষের ধারণ ক্ষমতার ৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সোমবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন এ তথ‌্য নি‌শ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসক আরো জানান, ঘূ‌র্ণিঝড়ে ক্ষয়-ক্ষ‌তি এড়াতে ইতিমধ্যেই জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিশেষত উপকূলবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে সতর্কতা হিসেবে মাইকিং শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি এড়াতে রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ ২ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বি‌ভিন্ন বেসরকারি এনজির ১১শ' স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত ‌আছে।

তি‌নি জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো বসবাস উপযোগী করার জন‌্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনে উপকূলবাসীকে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করবেন।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান সকালে মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এছাড়া পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের ভেতরে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা ঝড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। মংলা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

তি‌নি আরো জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও শক্তিশালী হয়ে মঙ্গলবার রাতে বা বুধবার সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করতে পারে।