ঘূর্ণিঝড় আম্ফান: সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান
  • নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’আম্ফান’ সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চার করে বাংলাদেশের সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৭ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কম-কে জানান, ‘আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানতে পারে। তবে এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না কোনদিকে আঘাত হানবে। কারণ আসার পথে ঝড়ের গতি বেড়ে যেতে পারে। আবার কমেও যেতে পারে। আবার আরও শক্তিশালী হতে পারে, দূ্র্বলও হয়ে পড়তে পারে। তবে সমুদ্রবন্দরগুলোতে এখন ৪ নম্বর স্থানীয় দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে।’

ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কয়েকটি ওয়েবসাইটের সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান শক্তি সঞ্চার করছে। এর আশপাশের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটারেরেউপরে রয়েছে। তবে স্থলভাগের দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এর গতিবেগ কিছুটা কমতে থাকবে। আগামী বুধবারের মধ্যে (২০ মে) কলকাতা ঘেঁষে বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে। এ সময় এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার হতে পারে। সাতক্ষীরা ও যশোরের দিকে এর প্রভাব পড়তে পারে।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ট্র্যাকার

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান রোববার সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার বয়ে যাবে। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।