আমার এলাকায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না: খন্দকার মোশাররফ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার এলাকায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ঘরে না থাকার কোনো বিকল্প নেই। ঘরে না থাকলে অথবা ঘরে না রাখতে পারলে কিন্তু এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সরকারে পক্ষে সম্ভব হবে না। আমরা জানি, ঘরে থাকলে অনেকেরই খাদ্যের অভাব হবে। তাই আমরা আপনাদের যাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রত্যেকের ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেব, দয়া করে ঘরে থাকুন। আমার গায়ে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমার এলাকায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুর শহরের বদরপুরে আফসানা মঞ্জিল প্রাঙ্গণে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ এ আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, আমরা এক অদৃশ্য অজানা শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। এ কারণ সঠিক কাজটিও করতে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে। আল্লাহর অশেষ রহমত গত ১০ দিনে আমাদের মত এত ঘনবসতির দেশে ব্যাপক সংক্রমণ দেখা যায়নি। এমনও জেলা আছে যে এখনও একজন লোকও আক্রান্ত হয়নি। এর কারণ হচ্ছে আমরা স্বাস্থ্য সম্মতভাবে চলছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ৩১ নির্দেশনা আছে, আমরা তা পালন করছি। এজন্য অন্যান্য দেশের থেকে সংক্রমণ অনেক কম আছে।
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভীর সভাপতিত্বে এ সময় জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্না হাসান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এএইচএম ফোয়াদ, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, আমি আমার নেতকর্মীদের আহ্বান করছি, আপনারা একে অপরকে সহযোগিতা করেন। বিনা প্রয়োজনে কোনো ক্রমেই ঘরের বাইরে আসবেন না। নিজে সংক্রমণ মুক্ত থাকুন, পরিবারকে রক্ষা করুন।
শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম সহয়তা বিতরণ বিষয়ে জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের ঘাটতি যাতে না থাকে, সেজন্য ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে তিনটি করে পিকআপ ভ্যান ভর্তি খাদ্য সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে শুরু করেছে। প্রথম দফায় ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি পিকআপ ভ্যান ভর্তি খাদ্য সামগ্রী ১৫ হাজার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ কেজি করে চাল, ৩ কেজি করে আটা, ২ কেজি করে আলু, এক কেজি করে লবণ, আধা লিটার করে তেল ও একটি করে সাবান দেওয়া হচ্ছে।
শহর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন বাপ্পি জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে সহায়তা দিতে হেল্প ডেস্ক চালু রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকলে ১৫ দিন পর পর এ কার্যক্রম চালানো হবে।