পাবনার সাঁথিয়ায় দাঁড়িয়ে থাকা করিমনে ট্রাকের ধাক্কায় তিন কৃষিশ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোর ৫ টার দিকে সাঁথিয়া-মাধপুর সড়কের রাঙামাটিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার রাঙামাটি গ্রামের আলতাফের ছেলে খোকন ইসলাম (২৭), ছোন্দহ গ্রামের নজিমুদ্দিনের ছেলে ধনী প্রামাণিক (৫০), একই গ্রামের সাইদের ছেলে রাসেল আহমেদ (২৭)। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. লতিফ জানান, ভোরে কৃষি শ্রমিকরা পেঁয়াজ লাগানোর জন্য করিমন যোগে অন্য এলাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। উক্ত স্থানে এলে সাঁথিয়াগামী মালবাহী ট্রাক চাপা দিলে ঘটনা স্থলেই ৩ জন মারা যায়। মরদেহ উদ্ধার করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আহতদের হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা ও হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে অব্যাহত রয়েছে শীতের তীব্রতা। রাতভর কুয়াশা ঝরে বৃষ্টির মতো। সকালের দিকেও কিছুটা থাকে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। এ জেলায় কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ ও হিমেল হাওয়া। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মেলেছে সূর্যের।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় এ জেলায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
তবে, রাতভর তীব্র শীতের দাপট ও তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রি নিচে নামলেও বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে দেখা মেলে সূর্যের। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে তাপমাত্রাও৷ এদিনসর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। তবে সন্ধ্যার পর থেকে আবার তাপমাত্রা হ্রাস ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
এ বিষয়ে জেলা শহরের হোটেল শ্রমিক মমিন ইসলাম বলেন, শীতকাল আসলে আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়। শীতকালে অনেক শীত বস্ত্র আসে কিন্তু আমরা গরিব মানুষ পাই না। তেমন কাজও করতে পারি না।
একই কথা বলেন জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলন করতে পাথর শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, নদীর পানি বরফের মত ঠাণ্ডা। কয়েকদিন থেকে অনেক শীত অনুভূত হচ্ছে। কষ্ট হলেও পাথর উত্তোলন করতে হচ্ছে। কারণ কাজ না করলে আমাদের আহার মিলেনা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজকে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ৬-৮ কিলোমিটার। আরো কয়েকদিন আবহাওয়া এমন থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নং ভবনে ভয়াবহ ও নজিরবিহীন অগ্নিকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ নথি ও অবকাঠামো পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এটিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে অগ্নি নির্বাপণকর্মী সোহানুর জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সচিবালয়ের মতো একটি নিরাপত্তাবেষ্টিত স্থানে এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড ফ্যাসিবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি। এ ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতির চিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা মনে করি, এই ঘটনার পরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা উচিত।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর সম্ভাব্য চূড়ান্ত প্রতিবেদনের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সংস্কার প্রস্তাবনা ও সংস্কার কার্যক্রমকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে নানাবিধ তৎপরতা চলছে। সংস্কার কমিশনগুলো সরকারের কাছে নিজেদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনগুলো দাখিল করার আগে এ ধরনের অস্থিরতা এবং কমিশনের কাজে প্রতিবন্ধকতা রাষ্ট্রের সংস্কার কার্যক্রমকে ব্যহত করার একটা অপচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, আমরা চরম উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট নানা মহল থেকে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল হয়নি। এর আগে পদোন্নতিতে কোটা সংক্রান্ত সুপারিশ গণমাধ্যমে প্রকাশের ফলে ক্যাডারদের মাঝে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত করে বিচারের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সৌদি আরবে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদের পক্ষে মহাপরিচালক (প্রটোকল) আলী আস সাহরী রিয়াদে রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্রের কপি গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি সৌদি আরবে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর এবং সুদৃঢ় করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মহাপরিচালক (প্রটোকল) রাষ্ট্রদূতকে সাদরে গ্রহণ করেন এবং দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূতও ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি সবার প্রতি পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেন।
রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের ১৬তম রাষ্ট্রদূত। রিয়াদ দূতাবাসে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।