সেলুন বন্ধ, নরসুন্দররা এখন গ্রামে গ্রামে
গাইবান্ধায় করোনার প্রভাবে বেকার হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এই নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ যায়নি সেলুন। বেঁচেতো থাকতে হবে। এই চিন্তা থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের চুল কাটা শুরু করেছেন গ্রামের নরসুন্দররা। করোনার কারণে ঘরে ঘরে গিয়ে চুল কাটাতে ঝুঁকি থাকলেও বেঁচে থাকার তাগিদে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সোমবার (৬ এপ্রিল) গাইবান্ধার জামালপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ রসুলপুর গ্রামের একটি বাড়ির উঠানে চুল কাটতে দেখা যায় শাহীন নামের এক নরসুন্দরকে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সেলুন শ্রমিকরাও বাড়ি থেকে বের হননি কয়েকদিন। কিন্তু এতে থমকে গেছে তার পরিবারের জীবনযাত্রা। তাই বাধ্য হয়েই কাজের সন্ধানে ছুটছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। সংক্রমণের ঝুঁকি ভুলে চুলকাটার কাজ করছে তারা।
নরসুন্দর শাহীন মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, করোনার প্রভাবে কয়েকদিন বাড়িতে বসে ছিলেন। এতে পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে পারছিলেন না। অর্থাভাবে না খেয়েও থাকতে হতো তাকে। দু বেলা খাওয়ার জন্য ঝুঁকি নিতেই হচ্ছে তাকে।
তিনি আরও জানান, সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা তার কাছে এসে পৌঁছায়নি।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বার্তা২৪.কমকে বলেন, কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ কর্মসূচির আওতায় সকল পেশার শ্রমিকরা সুবিধা পাচ্ছে এবং পাবেন।